কাশ্মীরে গোপনে কোন উপায়ে সন্ত্রাসে উস্কানি দিচ্ছে জঙ্গিরা! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য
কাশ্মীরকে অশান্ত করতে এখনও উদ্যোগের রাস্তা থেকে সরছে না জঙ্গিরা। নিত্য নতুন পথে তারা ভারতের বুকে নাশকতার ছক কষা শুরু করে দিয়েছে। তবে যেহেতু গোটা দেশ এই মুহূর্তে কড়া নিরাপত্তার চাদরে , এমনকি কাশ্মীরেও প্রবল নিরাপত্তা রয়েছে , তাই ভারতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশ কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় কাশ্মীরের বুকে জঙ্গি তৎপরতা বাড়াতে নয়া প্রযুক্তিকে ব্যবহার করছে সন্ত্রাসবাদীরা।
এনক্রিপশন পন্থায় চলছে কথাবার্তা
বিভিন্ন জঙ্গি শিবিরের তরফে এনক্রিপশন পদ্ধতিতে সংযোগ রক্ষা করার কাজ চলছে কাশ্মীরের বুকে। এক্ষেত্রে ভয়েস অন ইন্টারনেট প্রোটোকলকে হাতিয়ার করে কাশ্মীরে জঙ্গি ক্যাডরদের জাগিয়ে তুলছে বিভিন্ন জঙ্গি শিবির। এনক্রপশন পদ্ধতি কাজে লাগানোয় , কিছুতেই জঙ্গিদের গোপন কথাবার্তাকে সহজে ধরতে উঠতে পারা যাচ্ছে না। এমব তথ্য উঠে আসছে সোজা সরকারি সূত্র ধরেই।
দেশ বিরোধী কার্যকলাপে উস্কানি
জানা গিয়েছে, ইন্টারনেট কল এর দ্বারা পাকিস্তান সীমান্ত থেকে কাশ্মীরের বুকে জঙ্গি ক্যাডারদের দেশ বিরোধিতায় মদত দেওয়া হচ্ছে। আর এই ধরনের সমস্ত কার্যকলাপেই আসছে পাকিস্তান থেকে সাহায্য। জঙ্গিদের হাতিয়ার এক্ষেত্রে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ। আর সেই অ্যাপ মারফৎই এনক্রিপটেড সংযোগ চালানো হচ্ছে।
স্বাভাবিকের পথে কাশ্মীর তবুও রয়েছে কিছু আশঙ্কা
কাশ্মীরে গত ৫ অগাস্ট থেকে অবলুপ্ত করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। তারপর থেকে একাধিক বিধিনিষেধ কাশ্মীরকে ঘিরে তৈরি হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা সেখানে বহু মাস বন্দ ছিল। ধীরে ধীরে আংশিকভাবে তা কার্যকরী করা হয়। সাম্প্রতিক ব্যাঙ্ক থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী অফিস , সমস্ত জায়গাতেই এই ইন্টারনেট ,ব্রডব্যান্ড আংশিকভাবে কার্যকরী৫ করা হয়েছে। তবে ইন্টারনট কার্যকরী হলেও, তা থেকে রয়ে গিয়েছে কিছু আশঙ্কা।
ইন্টারনেট সংযোগ ও মৌলিক অধিকার
শীর্ষ আদালত কয়েকদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছে যে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা একপ্রকার টেলিকম আইনের লঙ্ঘন। তা ছাড়া এতে বাক স্বাধীনতার মৌলিক অধিকারকেও খর্ব করা হয়। এতে যোগাযোগ রক্ষার অধিকার লঙ্ঘিত হয় বলেও বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।