মোদীর ওপর হামলার ছক বানচাল, গোরখপুরে ধৃত দুই জঙ্গি
রাজ্য পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, ওই দুই জঙ্গি পাকিস্তান থেকে এসেছিল চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে বারাণসীর ম্যাপ, কিছু পাকিস্তানি টাকা, রিভলভার ও বোমা তৈরির মালমশলা। জেরায় এরা স্বীকার করেছে, লোকসভা ভোটে বিজেপি পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদীই ছিল তাদের নিশানা। মঞ্চে তিনি যখন বক্তৃতা দিতে উঠবেন, তখনই বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদীকে রুখতে দেশের অভ্যন্তরে যেমন নানা শক্তি সক্রিয়, তেমনই বাইরের শক্তিও তৎপর হয়ে উঠেছে। দু'দিন আগেই পশ্চিমবঙ্গ-নেপাল সীমান্ত থেকে দিল্লি পুলিশের গোয়েন্দারা পাকড়াও করেন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের মাথা তেহসিন আখতারকে। সে-ও বারাণসীতে নাশকতা চালানোর ফন্দি করেছিল বলে দাবি পুলিশের। ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের আর এক চাঁই জিয়াউর রহমান ওরফে ওয়াকাসকে আজমির থেকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। দেশ জুড়ে নানা জায়গা থেকে নরেন্দ্র মোদীর ওপর সম্ভাব্য হামলাকারীরা গ্রেফতার হওয়ায় নড়েচড়ে বসতে হয়েছে পুলিশকে। কারণ সামান্য গাফিলতিও যে কত বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে, তা বুঝেছেন পুলিশকর্তারা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিহারে নরেন্দ্র মোদীর জনসভার আগে বড়সড় হামলা চালাল মাওবাদীরা। গয়া জেলায় দু'টি মোবাইল টাওয়ার তারা উড়িয়ে দিয়েছে বোমা মেরে। পুলিশ সুপার নিশান্ত তিওয়ারি জানান, ১০০ জন মাওবাদী গেরিলা ভোররাতে হামলা চালায় মনঝউলি ও ডুমারিয়া বাজারে। সেখানে দু'টি মোবাইল টাওয়ার উড়িয়ে দিয়ে লিফলেট ছড়িয়ে দেয় তারা। সম্প্রতি পুলিশের গুলিতে ১০ জন মাওবাদীর মৃত্যুর বদলা নিতেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।
বিহার পুলিশের ডিজি অভয়ানন্দ বলেছেন, "গয়া ও সাসারামে নরেন্দ্র মোদীর সভা রয়েছে। আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।"তিনি জানান, সাদা পোশাকের প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হবে নরেন্দ্র মোদীর সভাস্থলে।