সন্ত্রাসবাদী ও দুর্নীতিগ্রস্তদের গোপনীয়তার অধিকার নেই! বিরোধীদের খোঁচা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
সন্ত্রাসবাদী ও দুর্নীতিবাজদের গোপনীয়তার অধিকার নেই। শনিবার এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন যে সামাজিক গণ মাধ্যমে বা মিডিয়ার মাধ্যমে বিচার বিভাগের উপর জনপ্রিয়তার চাপ তৈরি করে রায়কে প্রভাবিত করার চেষ্টা একটি বিপজ্জনক প্রবণতা।

বিচার বিভাগের উপর জনসাধারণের চাপ একটি বিপজ্জনক প্রবণতা
সুপ্রিম কোর্টে বিশ্ব বিচার বিভাগীয় সম্মেলন ২০২০-তে 'জুডিশিয়ারি ও চেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড' শীর্ষক আলোচনা সভায় ভাষণ রাখতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'কিছু লোক সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা শুরু করে কী ধরণের রায় আদালত প্রদান করা উচিত, এবং বিচারকদের তাদের প্রত্যাশিত রায় না দেওয়া হলে তাদের সমালোচনা করা হয়। বিচার বিভাগের উপর জনসাধারণের চাপ, বিশেষত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, একটি বিপজ্জনক প্রবণতা।'

ভারতের পরিচয় অবশ্যই অক্ষত রাখতে হবে
এরপর তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রে আমরা ভিন্নমতকে স্বাগত জানাই। আমরা পপুলিজমকে স্বাগত জানাই। কিন্তু জনগণতন্ত্র সাংবিধানিক অধিকারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। মন থেকে বলপন। প্রশ্ন করুন। তবে ভারতের পরিচয় অবশ্যই অক্ষত রাখতে হবে।'

বিভিন্ন সময়ে ফোনে আড়ি পাতার জন্যে বিজেপিকে আক্রমণ করে বিরোধীরা
এদিকে গত বছর থেকেই বেশ কয়েক মাস কাশ্মীরে বন্ধ রাখা হয়েছিল মোবাইল পরিষেবা। এরপর মোবাইল পরিষেবা চালু করা হলেও তাতে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই নিয়ে বিরোধীরা সরব হলে সরকারের তরফে সাফাই দিয়ে জানানো হয় যে দেশের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই তা করা হয়েছে।

আইনই সুপ্রিম, মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
এদিকে এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সেখানে তিনি বলেন, 'আইনই সুপ্রিম। রাজার রাজা। সম্প্রতি শীর্ষ আদালত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার সব সিদ্ধান্তই ১৩০ কোটি ভারতবাসী মাথা পেতে নিয়েছে। কাজেই এতেই প্রমাণ হয় বিচার বিভাগ বা আইনের ক্ষমতা কতটা।'