কর্তারপুর করিডরের কাছে জঙ্গি গতিবিধি রয়েছে, সতর্ক করল বিএসএফ
পাক সীমান্তের ওপারে কারতারপুর করিডরের কাছে ঘোরাফেরা করছে জঙ্গিরা। বিএসএফ সূত্রে খবর মেলার পরেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে কারতারপুর করিডর সংলগ্ন এলাকার নজরাদারি।
পাক সীমান্তের ওপারে কর্তারপুর করিডরের কাছে ঘোরাফেরা করছে জঙ্গিরা। বিএসএফ সূত্রে খবর মেলার পরেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে কর্তারপুর করিডর সংলগ্ন এলাকার নজরাদারি। সূত্রের খবর পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারের কাছে নারওয়াল গ্রামে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ নিতে দেখা গিয়েছে। এদিকে নয় তারিখে উদ্বোধন হবে ঐতিহাসিক কর্তারপুর করিডর।
পাকিস্তানের কর্তারপুরে বাড়ছে জঙ্গি গতিবিধি
কর্তারপুর করিডর উদ্বোধনের ঠিক দিন তিনেক আগেই জঙ্গি গতিবিধি নজরে এসেছে বিসএফ জওয়ানদের। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নারওয়াল গ্রামে জঙ্গিদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণ নিতে দেখা গিয়েছে। পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে, শেখরগড়, নারওয়াল গ্রামেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছে জঙ্গিরা। গোপন সূত্রে এমনই খবর পেয়েছে বিএসএফ। মহিলাদেরও জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এখানে। এদিকে এই নারওয়াল জেলাতেই রয়েছে কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বার। তার পাশেই গুরুদাশপুরে রয়েছে দেরা বাবা নানক সাহিব।
কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধন ৯ নভেম্বর
এদিকে কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধন হওয়ার কথা ৯ নভেম্বর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উদ্বোধন করবেন। পাকিস্তানের দিকে অবশ্য উদ্বোধন করবেন ইমরান খান। এদিকে গতকালই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কর্তারপুর কমপ্লেক্সের ছবি টুইট করে লিখেছিলেন প্রস্তুতি সব শেষ। ভারতীয় শিখ পূন্যার্থীদের অভ্যর্থনায় প্রস্তুত কর্তারপুর কমপ্লেক্স। তার আগেই কর্তারপুরে জঙ্গি গতিবিধি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
খালিস্তানি জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে পাকিস্তান
কাশ্মীর সিদ্ধান্তে পর ভারতে খালিস্তানি জঙ্গি গতিবিধি বাড়াতে মদত দিচ্ছে পাকিস্তান। একাধিক কট্টর খালিস্থানপন্থী নেতাদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে পাক রাজনীতিকদের। পাকিস্তানে তাঁদের গতিবিধি বেড়েছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দারা কর্তারপুর করিডরের সুবাদে খালিস্থান পন্থী জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশ করানোর ছক কষতে পারে পাকিস্তান। কারণ পাক গুপ্তচর সংস্থা খালিস্থানপন্থী জঙ্গি অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে ভারতে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এই পরিকল্পনাতে কে-২ প্ল্যান নাম দিয়েছে পাকিস্তান। যার অর্থ কাশ্মীর এবং খালিস্থান। সেকারণেই কাশ্মীর সিদ্ধান্তের পর পাঞ্জাবকে অশান্ত করার সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।