সেনা অফিসারের এক থাপ্পড়েই নড়েচড়ে বসে জঙ্গি নেতা মাসুদ!জইশ প্রধানকে ঘিরে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
কাশ্মীরের পুলওয়ামায় রক্তলীলার নেপথ্যের সবচেয়ে বড় নাম মাসুদ আজহার। অভিশপ্ত ১৪ ফেব্রুয়ারির দুপুরে ভূস্বর্গকে ভারতীয়দের রক্তাক্ত করেছিল পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-এ-মহম্মদ।
কাশ্মীরের পুলওয়ামায় রক্তলীলার নেপথ্যের সবচেয়ে বড় নাম মাসুদ আজহার। অভিশপ্ত ১৪ ফেব্রুয়ারির দুপুরে ভূস্বর্গকে ভারতীয়দের রক্তাক্ত করেছিল পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-এ-মহম্মদ। আর সেই গোষ্ঠীর প্রধান মাসুদ আজাহার। যাকে বহু বছর আগে বাগে পেয়েও ভারত ছাড়তে বাধ্য হয় ১৯৯৯ সালের কান্দাহারে বিমান অপহরণের সময়।
শুধু পুলওয়ামা নয়, দেশের একাধিক নাশকতার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই মাসুদ আজহারের নাম। কিন্তু নাশকতার প্রতি মাসুদের এই ঝোঁক কেন ছিল? জেলবন্দি থাকা অবস্থায় এই কুখ্যত জঙ্গির থেকে কোন ঘটনার কথা উগড়ে নেন ভারতীয় সেনা অফিসাররা। জেনে নেওয়া যাক সেই অজানা ঘটনা।
জেলবন্দি থাকার সময়ে কোন তথ্য ফাঁস করে জইশ প্রধান?
জেলে থাকার সময় বহুবার ভারতীয় গোয়েন্দা অফিসারদের জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল মাসুদ আজহারকে। সেই সময় যাঁরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন , তাঁরা বলছেন , খুব সহজেই মাসুদের থেকে তাঁরা তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন।
পর্তুগিজ পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে প্রবেশ
পর্তুগিজ পাসপোর্ট নিয়ে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ হয়ে ঘুরপথে ভারতে প্রবেশ করে জইশ জঙ্গি মাসুদ আজহার। কাশ্মীরে ঢোকার আগে সাহারণপুর হয়ে মাসুদ ভূস্বর্গে আসে। এর আগে করাচির এক পত্রিকার হয়ে সাংবাদিক সেজে বিভিন্ন দেশে ' কাশ্মীরের আজাদি'র জন্য প্রচার করতে থাকে এই ধুরন্ধর জঙ্গি নেতা।
মাঝে মাঝেই হুঁশিয়ারি!
জেলবন্দি থাকা অবস্থাতেই বহুবার গোয়েন্দা অফিসারদের হুঁশিয়ারি দিত এই পাক জঙ্গি। বহুবার মাসুদ দাবি করেছে, তাকে বাঁচাতে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই মসদানে নামবে। কারণ পাকিস্তানে তার জনপ্রিয়তা ব্যাপক!
কোন ঘটনা নাড়িয়ে দেন মাসুদকে?
অফিসারদের দাবি, ধরা পড়ার পর সেদিন এক সেনা অফিসারের এক থাপ্পড়েই সমস্ত তথ্য উগড়ে দিতে থাকে মাসুদ আজাহার। যে জঙ্গির অঙ্গুলি হেলনে একের পর এক নাশকতার ঘটনা এদেশের বুকে ঘটিয়ে চলেছে জইশ, তথা নাশকতার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছে, সেই জইশ প্রধান এতটাই দুর্বল বলে দাবি গোয়েন্দা অফিসারদের।
কী কী বলছিল আজাহার?
ওই গোয়েন্দা অফিসারের দাবি, সেদিনে থাপ্পড়ের পর ক্রমেই পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলি নিয়ে মুখ খুলতে থাকে মাসুদ আজহার। পাকিস্তানে কীভাবে জঙ্গি গোষ্ঠীতে লোক নিযুক্ত করা হয়, কীভাবে কাজ চলে সেখানে , সমস্ত কিছুই গোয়েন্দাদের বলে ফেলে মাসুদ।
আফগান জঙ্গির ভারতে প্রবেশ!
আফগানিস্তান থেকে কিভাবে কাশ্মীর সীমান্তে জঙ্গি পাঠানো হত। পাশাপাশি হরকত-উল-মুদাহিদ্দিন ,ও হরকত-উল-জেহাদ-এ-ইসলামি কীভাবে এক হয়ে গিয়েছিল, তার সমস্ত তথ্য গোয়েন্দাদের সামনে বলে ফেলে মাসুদ। সেই সময় জঙ্গি সংগঠন 'হরকত-উল-আনসার' এর সেক্রেটারি ছিলেন মাসুদ।