বছর ২০ পর ফের অভিশপ্ত ১৩! সংসদ হামলার স্মৃতি উস্কে ফের সন্ত্রাসের কালো ছায়া উপত্যকায়
২০ বছর আগে লস্কর ই তৈবা আর জইশ-ই-মহম্মদ! ঠিক এমন দিনেই ভয়াবহ জঙ্গি হামলাতে আতঙ্কিত হয়েছিল গোটা দেশ। আর আজ সোমবার ফের জঙ্গি হামলা দেশে। সেদিনের ঘটনায় নড়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। আজ সোমবারও শ্রীনগরের ঘটনায় কেঁপে উঠল দেশের মানুষ।
২০ বছর আগে লস্কর ই তৈবা আর জইশ-ই-মহম্মদ! ঠিক এমন দিনেই ভয়াবহ জঙ্গি হামলাতে আতঙ্কিত হয়েছিল গোটা দেশ। আর আজ সোমবার ফের জঙ্গি হামলা দেশে। সেদিনের ঘটনায় নড়ে গিয়েছিল গোটা দেশ। আজ সোমবারও শ্রীনগরের ঘটনায় কেঁপে উঠল দেশের মানুষ।
শ্রীনগরের পান্থা চক জেওয়ানে হঠাত করে পুলিশ বাস টার্গেট করে জঙ্গিরা। বুঝে ওঠার আগেই এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। আর এই হামলায় শহিদ দুই জওয়ান। আহত আরও এগারো জন।
২০ বছর আগের ১৩ ডিসেম্বর
কাকতালিয় ভাবে ২০ বছর আগে এমনই এক ১৩ ডিসেম্বরে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। আর তা হয় খাস সংসদ ভবনে। আজ সেই হামলার ২০ বছর পূর্ণ হল। আর একটা ১৩ ডিসেম্বর না ফুরোতেই সামনে এল আরও জঙ্গি হামলার খবর। ২০০১ সালে ৫ জন বন্দুকধারী আততায়ীরা ভারতীয় সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ে। ঘটনায় আততায়ীরা সংসদের স্টিকার লাগানো গাড়িতে চড়ে এসেছিলেন। হামলার ঘটনার ঠিক ৪০ মিনিট আগে রাজ্যসভা ও লোকসভা উভয়ই স্থগিত হয়েছিল। আর ঘটনার ঠিক আগেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী।
কি ঘটেছিল
জঙ্গিরা সোজা গাড়ি নিয়ে তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি কৃষণ কান্তের কনভয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে। আর এরপরেই গুলির শব্দ! উপ-রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী এবং কমান্ডো বাহিনী পালটা প্রত্যাঘাত করে। শুরু হয় গুলির লড়াই। সংসদ চত্বরের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভয়াবহ ঘটনার সময় মহিলা কনস্টেবল কমলেশ কুমারী প্রথম আততায়ী স্কোয়াডটির আত্মগোপনের জায়গাটি খুঁজে বার করেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি! জঙ্গিদের গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। দীর্ঘ লড়াইয়ে সংসদে ভবনে লুকিয়ে থাকা সমস্ত জঙ্গিকে খতম করা হয়। তবে জঙ্গিদের গুলিতে ৫ পুলিশকর্মী, ১ জন সংসদের নিরাপত্তা কর্মী ও একজন মালী নিহত হন। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন মোট ১৮ জন।
গ্রেফতার হল আফজল গুরু!
ঘটনার তদন্ত ভার যায় এনআইএ'য়ের উপর। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে মহম্মদ আফজল গুরুকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জেরা করেই শওকত হুসেন গুরু (আফজাল গুরুর চাচাতো ভাই), এস এ আর গিলানি এবং শওকতের স্ত্রী আফসান গুরুকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিহার জেলে আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়। সংসদ হামলার এই ঘটনায় গোটা দেশ কেঁপে উঠেছিল।
আরও একটা ১৩ ডিসেম্বর!
আরও একটা ১৩ ডিসেম্বর। আরও এক জঙ্গি হামলা। জেওয়ানে হঠাত করে পুলিশ বাস টার্গেট করে জঙ্গিরা। বুঝে ওঠার আগেই এলোপাথাড়ি গুলি। তবে কপাল জোরে বেঁচে যাওয়া! বলছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরা। একাংশের মতে, জইশ জঙ্গিরা নিখুঁত ভাবে এই হামলা চালিয়েছে। আর এজন্যে আগে থেকে বাহিনীকে টার্গেট করে বলে মত পর্যবেক্ষকদের। ঘটনায় ১৪ জন আহত হলেও দুজন শহিদ হয়েছেন। বাকিরা বিপদমুক্ত বলেই জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক আধিকারিক। ইতিমধ্যে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য তলব করেছে পিএমও।