টিকাকরণের কারণে গা-ছাড়া মনোভাবই কাল? মহারাষ্ট্রের করোনা সঙ্কট নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা
টিকাকরণের কারণে গা-ছাড়া মনোভাবই কাল? মহারাষ্ট্রের করোনা সঙ্কট নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা
মহারাষ্ট্রে লাগাতার বাড়ছে করোনার জোয়ার। কোভিড ঢেউ বিপদসীমা পেরোনোর আগেই যে সাবধানতা অবলম্বন প্রয়োজন, সে বিষয়ে মহারাষ্ট্রবাসীকে সাবধান করলেন কেন্দ্রীয় বিশেষ কোভিড মোকাবিলা দলের বিশেষজ্ঞ সদস্য ডঃ শশাঙ্ক জোশি। বর্তমানে দেশে প্রত্যহ নব আক্রান্তের প্রায় ৬২শতাংশই যে মহারাষ্ট্রনিবাসী, সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই শিবসেনা সরকারকে কড়া চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। নাইট কার্ফু বা লকডাউন বলবৎ করার ক্ষেত্রে ঢিলেমি দিলে যে বড়সড় বিপত্তির দিকে এগোবে রাজ্য, সে বিষয়েও মহারাষ্ট্র প্রশাসনকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
কমছে করোনা পরীক্ষা
দেশে হঠাৎই বেড়েছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। এক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রের অগ্রণী ভূমিকা নেওয়াটা যে একেবারেই ভালো লক্ষণ নয়, তা জানাচ্ছেন গবেষকরা। পাশাপাশি নাগরিকদের সুস্বাস্থ্য বজায়ের জন্য যে নতুন জনস্বাস্থ্য কৌশল অবলম্বনের প্রয়োজন, মঙ্গলবার সে কথা জানান কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য ডঃ শশাঙ্ক জোশি। মুম্বইয়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম করোনা পরীক্ষা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
টিকাকরণের পরেও দু'মাস পর্যন্ত সাবধানতা প্রয়োজন
ডঃ শশাঙ্কের মতে, "মুম্বইয়ের বেশ কিছু অঞ্চলে হঠাৎই সংক্রমণ মাত্রা ছড়িয়েছে। মুল্যান্ড-এর হটস্পট অঞ্চলগুলি চিহ্নিত করে এখনই মাইক্রো-কন্টেনমেন্টের প্রয়োজন।" গবেষকদের মতে, করোনা টিকা নেওয়ার পরেও দু'মাস পর্যন্ত করোনাবিধি মেনে চলা প্রয়োজন। ডঃ শশাঙ্কের সাফ বক্তব্য, "২০২১-এ অন্তত স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। টিকা নিয়ে যদি মাস্ক খুলে গা-ছাড়া মনোভাব দেখায় জনসাধারণ, তবে করোনাকে বেঁধে রাখা মুশকিল।"
কন্টেনমেন্ট অঞ্চলে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত কড়া নিয়ম
মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও খুব একটা বাড়েনি মৃত্যুহার, স্বভাবতই কিছুটা স্বস্তিতে গবেষকরা। পাশাপাশি অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা গ্রহণে রক্ততঞ্চনের ঘটনা নিয়ে যে খুব ভাবিত নয় প্রশাসন, তাও জানিয়েছেন জোশি। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, আগামী ৩১শে মার্চ পর্যন্ত কোভিডবিধি বজায় থাকবে কন্টেনমেন্ট অঞ্চলগুলিতে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য সহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবা ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিকে ৫০% কর্মক্ষমতা নিয়ে কাজ চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিবসেনা সরকার।
তাপ পরিমাপ বাধ্যতামূলক প্রেক্ষাগৃহ, শপিং মলে
রেস্তোরাঁ, প্রেক্ষাগৃহ, হোটেল ও মলগুলোকে অর্ধেক কর্মচারী রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও আধিকারিকদের মতে, মাস্ক পরিধান ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে বা দর্শক-ক্রেতাদের জীবাণুমুক্ত ও তাপ পরিমাপ করতে অতিরিক্ত লোকবলের প্রয়োজন পড়বে এইসকল স্থানে। মহারাষ্ট্র স্বাস্থ্যমন্ত্রক অনুসারে, মুম্বইয়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১,৭১৩ জন ও নাগপুরে ২,০৯৪ জন।
'এক পায়ে এমন খেলা খেলবো, বুঝতে পারবে', সুর চড়ালেন মমতা