বিরোধীদের অভিযোগকে অস্বীকার! তৃতীয় বারের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রধানের
বিরোধীদের অভিযোগকে অস্বীকার! তৃতীয় বারের জন্য মেয়াদ বাড়ানো হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রধানের
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রধান এস কে মিশ্রের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রধান হিসেবে এই নিয়ে এসকে মিশ্রের মেয়াদ তিন বার বাড়ানো হল। কেন্দ্রের বিরোধিতা করেছে বিরোধী দলগুলো। এরআগে বিরোধী দলগুলোর একাংশ ইডির ক্ষমতা কমানোর আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
তিনবার বাড়ানো হল ইডির প্রধানের মেয়াদ
কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির প্রধানের মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই বছর হয়। ২০২০ সালে এসকে মিশ্র কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির প্রথম প্রধান যার মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। অর্ডিন্যান্সে কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রধানদের এক পদে মেয়াদ পাঁচ বছর করা সম্ভব হয়েছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে ইডির প্রধান হিসেবে এসকে মিশ্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর কেন্দ্রের তরফে একটি নোটিশের মাধ্যমে এসেকে মিশ্রের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিরোধীদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, সিভিসি আইন কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রধানদের মেয়াদ দুই বছরে সীমাবদ্ধ করে না। কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রধানদের নেতৃত্বে একাধিক তদন্ত চলছে। তদন্তগুলো শেষ করা অবধি মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। বিরোধীদের তরফে অভিযোগ করা হয়, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছে না। কেন্দ্র সরকারের নির্দেশে কাজ করছে। তাই পুরস্কার হিসেবে কেন্দ্রীয় সংস্থার প্রধানদের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস সহ সংসদে একাধিক বিরোধী দল বিরোধিতা করেছিল। কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়, কেন্দ্র সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে। বিভিন্ন রাজ্যে সরকারকে অস্থিতিশীল করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইডির প্রধানের ক্ষমতা
ইডির প্রধান পদটি কেন্দ্রীয় সরকারের একটি অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার পদ। দেশে কালো টাকা রোধ করতে ইডি দুটি আইন প্রণয়ন করেছে। আইন দুটো হল প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট। অন্যদিকে, ইডির ক্ষমতা কমানোর আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধীদের একাংশ।
ইডির ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগ
সুপ্রিম কোর্টে বিরোধীদের একাংশ ইডির ক্ষমতা কমানোর বিষয়ে আবেদন করেছিলেন। আবেদনে জানানো হয়েছি, ইডি কেন্দ্র সরকারের নির্দেশে কাজ করে। বিরোধীদের প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতে কেন্দ্র ইডিকে ব্যবহার করে। প্রথমে সুপ্রিম কোর্ট বিরোধীদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে। ফের বিরোধীরা সুপ্রিম কোর্টকে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে সরকার ও আবেদনকারীদের দাবি শুনতে সম্মত হয়। বর্তমানে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বিচারাধীন।
হাইকোর্টে ফের ধাক্কা কমিশনের, অতিরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ আদালতের