লাদাখে পিছু হটার ক্ষততে নুনের ছিঁটে, ডিজিটাল যুদ্ধেও ভারতের কাছে হেরে গেল চিন
ডিজিটাল ক্ষেত্রে ভারতীয় অ্যাপগুলির কাছে অনেকটাই পিছিয়ে গেল চিনা সংস্থার তৈরি অ্যাপগুলি। উল্লেখ্য, গতবছর লাদাখে চিন-ভারত স্ট্যান্ড অফের মাঝেই গালওয়ানে সংঘর্ষ হয় দুই দেশের সেনার। এরপরই ভারতে কয়েক দফায় বেশ কয়েকটি চিনা অ্যাপ বাতিল করেছিল ভারত। এরপরই ২০২০ সালে সমগ্র বাজারে চিনা অ্যাপের ব্যবহার কমে ২৯ শাতংশে দাঁড়ায়। ২০১৯-এ এই সংখ্যাটা ছিল ৩৮ শতাংশ। এদিকে ভারতীয় অ্যাপগুলির ব্যবহার বেড়ে দাঁড়িয়ে ৩৮ শতাংশ। এদিকে জার্মান, মার্কিন অ্যাপের কদরও বেড়েছে এই আবহে।
সীমান্ত সমস্যা নিয়ে সম্পর্ক তিক্ত হয়
গত বছর ভারত ও চিনের মধ্যে যখন সীমান্ত সমস্যা নিয়ে সম্পর্ক তিক্ত হয়, তখনই চিনা অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি মাসে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, টিকটক ও অন্য অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধই রাখা হবে। এদিকে ভারতে ব্যবসাই গুটিয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছে টিকটক। চিনা সোশাল মিডিয়া কম্পানি তথা টিকটক ও হ্যালো অ্য়াপসের মালিক বাইটডান্স জানিয়েছে, তাদের পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকায় ভারতের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ব্যবসা গোটায় টিকটক
টিকটকের বিশ্বব্যাপী অন্তর্বর্তী প্রধান ভানেসা পাপ্পাস ও গ্লোবাল বিজনেস সলিউশনসের সভাপতি ব্লেক চান্দলি যৌথভাবে তাঁদের কর্মীদের ই-মেলে জানিয়েছেন যে, তাঁরা তাঁদের দল ছোটো করছেন এবং ভারতের সব কর্মীর উপর সেই সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে। ভারতে তাঁরা আর কখনও ফিরে আসবেন কি না, সে ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে জানালেও তাঁরা ফেরার আশা ছেড়ে দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।
জুনে ৫৯টি চিনা অ্যাপকে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়
গত জুনে ৫৯টি চিনা অ্যাপকে ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা ও জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে 'হানিকারক' আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সেগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অ্যাপগুলির মধ্যে রয়েছে টিকটক, হেলো, উই চ্যাট, ইউসি ব্রাউজার, ইউসি নিউজ, ক্যাম স্ক্যানার, ক্ল্যাশ অফ কিংস, ক্লাব ফ্যাক্টরি, বিগো লাইভ ইত্যাদি। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৯এ ধারা এবং ২০০৯ সালের তথ্যপ্রযুক্তি বিধির সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থার আওতায় কেন্দ্র অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করেছিল।
ভারত সরকার আরও ১১৮টি অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছিল
এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার আরও ১১৮টি অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। নভেম্বরে অতিরিক্ত ৪৩টি চিনা মোবাইল অ্যাপের উপর ভারতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। সরকারের এই পদক্ষেপের পরে আলিবাবা মালিকানাধীন ইউসি ব্রাউজার তাদের ভারতের দপ্তর বন্ধ করে দেয়।