লোকসভা ভোটের আগে বড় ভাঙন মায়াবতীর দলে, ১০ নেতার যোগদান কংগ্রেসে
লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার পরই বিএসপির বহিষ্কৃত ১০ নেতা যোগদান করলেন কংগ্রেসে। কংগ্রেসে যোগ দেওয়া দশজন প্রাক্তন বিএসপি নেতার মধ্যে রয়েছেন দুই সভাপতি ও একজন প্রাক্তন সাংসদ।
লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার পরই বিএসপির বহিষ্কৃত ১০ নেতা যোগদান করলেন কংগ্রেসে। কংগ্রেসে যোগ দেওয়া দশজন প্রাক্তন বিএসপি নেতার মধ্যে রয়েছেন দুই সভাপতি ও একজন প্রাক্তন সাংসদ। তাঁরা বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীর বিরুদ্ধে অগণতান্ত্রিকভাবে দল পরিচালনার অভিযোগ করেন। বিএসপির তরফে জানানো হয়েছে, ১০ জনের দলবদলে কোনও ক্ষতি হবে না।
বিএসপির যুক্তি, দল বিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে ওই নেতাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। কংগ্রেসে যোগদানকারী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন বিএসপি সভাপতি প্রদীপ অহিরওয়ার ও সত্যপ্রকাশ জাতভ। এছাড়াও রয়েছেন দেবদুত সোনি, বাবুলাল পাহলওয়ান, রবীন্দ্র প্যাটেল, পোহাপ চৌধুরী, মঞ্জু শরাফ, কমল প্রসাদ, বিনোদ রায় এবং রামসেবক দমলে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের উপস্থিতিতে তারা যোগদান করেন কংগ্রেসে।
এর আগে বিএসপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসাদ দেবরাজ সিং প্যাটেল কংগ্রেসে যোগ দেন। দলত্যাগী নেতারা অভিযোগ করেন, মধ্যপ্রদেশের কোনও পার্টির অফিসারকে পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতী কোনও গুরুত্ব দেন না। তিনি মধ্যপ্রদেশ থেকে পাঠানো ভারপ্রাপ্ত নেতার মাধ্যমে দল পরিচালনা করেন এবং এই প্রক্রিয়াতেই বিশ্বাস করেন। এছাড়া তাঁদের অভিযোগ, দলে কোনও গণতন্ত্র নেই।
দেবরাজ প্যাটেল বলেন, সংসদে বিএসপির শক্তি কমে গিয়েছে। পার্টির সুপ্রিমোর কিছু খারাপ সিদ্ধান্তের কারণে পার্টির ভিত্তি হ্রাস পাচ্ছে। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আমি মধ্যপ্রদেশের কেবলমাত্র সাংসদ ছিলাম। আমিও মায়াবতীজির সঙ্গে কথা বলতেও পারিনি। এভাবেই পার্টিতে একনায়কতন্ত্র কায়েম করা হয়েছে।