এবার শীতে কি কম্পন? জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দেশের ভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বেশি নামার সতর্কতা জারি
এবার শীতে কি কম্পন? জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে দেশের ভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বেশি নামার সতর্কতা জারি
এবার বর্ষা বিদায়ের সময়ে অভাবনীয় আবহাওয়া (Weather) দেখা গিয়েছে দেশের বিভিন্ন অংশে। উত্তরে ভেসেছে উত্তরাখণ্ড, দক্ষিণে ভেসেছে কেরল। এমন খবরও পাওয়া যাচ্ছে, এবারের শীতে প্রশান্ত মহাসাগরের (pacific ovean) লা নিনার (La Nina) প্রভাব পড়তে পারে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে। উত্তর গোলার্ধ জুড়েই এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা জারি করতে বলা হয়েছে।
উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বেশি নামতে পারে
ব্লুমবার্গে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস, যে সময় উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে তাপমাত্রা কম থাকে, এবার সেইসব জায়গায় তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি বেশি নামতে পারে। এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, শীতলতম শীতকালের অর্থ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিদ্যুতের অভাব দেখা দেবে। যার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চিন। অন্যদিকে ভারতের মতো এশিয়ার অনেক দেশের জনগণ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে ত্রস্ত। তবে অন্য দেশগুলির তুলনায় ভারতে সেই সময় বিদ্যুতের ব্যবহার কম হয়।
লা নিনার প্রভাবে পড়েছে ভারতে
ভারতে
ইতিমধ্যেই
লা
নিনার
প্রভাব
পড়েছে।
গত
কয়েক
সপ্তাহের
আবহাওয়ায়
তা
প্রমাণিত।
প্রচুর
বৃষ্টিপাত
এবং
বর্ষা
বিদায়ে
দেরি
হওয়া
লা
নিনার
প্রভাবেরই
অংশ।
লা
নিনা
প্রশান্ত
মহাসাগরের
জলকে
ঠাণ্ডা
করে।
দেশে
ভাল
বৃষ্টিপাতে
সাহা
করার
পাশাপাশি
প্রশান্ত
মহাসাগরে
পেশ
কিছু
ঘূর্ণাবর্তও
তৈরি
করে।
ইতিমধ্যেই
হিমাচল
প্রদেশের
লাহুল-স্ফীতি
এবং
কিন্নরে
তাপমাত্রা
শূন্যের
নিচে
নেমে
গিয়েছে।
উত্তর
ভারতের
এই
রাজ্যে
এবার
আগেই
শীত
এসে
গিয়েছে।
লাহুল-স্ফীতির
কেলং-এ
তাপমাত্রা
শূন্যের
পাঁচ
ডিগ্রি
নিচে
নেমে
গিয়েছে
ইতিমধ্যেই।
অন্যদিকে
রাজধানী
সিমলায়র
তাপমাত্রা
৬.৪
ডিগ্রির
আশপাশে
ঘোরাফেরা
করছে।
পাহাড়ি
এই
রাজ্যের
বিভিন্ন
জায়গায়
ধসের
কারণে
রাস্তা
বন্ধ।
এর
প্রভাব
পড়েছে
জনজীবনে।
গত
কয়েক
সপ্তাহে
প্রবল
বৃষ্টি
হয়েছে
কেরলের
পাশাপাশি
উত্তরাখণ্ডে।
আবহাওয়া
দফতর
জানিয়েছে,
অক্টোবরের
১
থেকে
২১
তারিখের
মধ্যে
শুধুমাত্র
উত্তরাখণ্ডেই
৪১
শতাংশ
বেশি
বৃষ্টি
হয়েছে।
অন্যদিকে
ভারী
বৃষ্টি
হয়েছে
জম্মু
ও
কাশ্মীরে।
আর
পাহাড়ের
চূড়ায়
বরফ
পড়েছে।
প্রবল
বৃষ্টিতে
ধসের
জেরে
অনেক
রাস্তা
বন্ধ
হয়ে
গিয়েছে।
আবহাওয়া
দফতর
জানিয়েছে
রবিবার
উত্তর
ভারতের
বিভিন্ন
জায়গায়
ন্যূনতম
তাপমাত্রা
স্বাভাবিকের
থেকে
কম
ছিল।
কেন ভারত চরম আবহাওয়ার সম্মুখীন
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, অক্টোবরে দুটি নিম্নচাপের মুখে পড়ে দেশ। একদিকে আরব সাগরে হওয়া নিম্নচাপের জেরে কেরলে অতিপ্রবল বৃষ্টি অন্যদিকে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং নিম্নচাপের জেরে উত্তরাখণ্ডের পরিস্থিতি খারাপ হয়। এবছরে বর্ষা বিদায়ে যে দেরি হয়েছে, তা ১৯৭৫ সালের পরে এনিয়ে প্রথমবার বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। বঙ্গোপসাগর এবং আরবসাগর বপেশ উষ্ণ হওয়ার কারণে বেশি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে না নিনার শর্তগুলি।
গতবছরেও ব্যাপক ঠাণ্ডা পড়েছিল উত্তর ভারতে
উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ন্যূনতম তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির নিচে নেমে গিয়েছিল। শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে এইসব এলাকায় ছিল কুয়াশার দাপট। দিল্লিতেও অন্যবছরের তুলনায় বেশি শীত পড়েছিল। নভেম্বর যেখানে তাপমাত্রা থাকার কথা ১২.৯ ডিগ্রির আশপাশে, গত বছরে সেখানে তা ছিল ১০ ডিগ্রির আশপাশে।