২০ এপ্রিল থেকে লকডাউনে ছাড়, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মানছে না ৩ রাজ্য
করোনা মোকাবিলায় পরিস্থিতি বাকি দেশের মতো নয়। এই পরিস্থিতিতে তিন রাজ্য সরকার জানিয়ে দিল তারা কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে লকডাউনে ছাড় দিতে পারবে না। এই তিন রাজ্য হল তেলেঙ্গানা, পঞ্জাব, দিল্লি।
করোনা মোকাবিলায় পরিস্থিতি বাকি দেশের মতো নয়। এই পরিস্থিতিতে তিন রাজ্য সরকার জানিয়ে দিল তারা কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনে লকডাউনে ছাড় দিতে পারবে না। এই তিন রাজ্য হল তেলেঙ্গানা, পঞ্জাব, দিল্লি। এই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা জানিয়েছেন, সেখানকার পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৩ মে পর্যন্ত লকডাউনে কোনও ছাড় নয় দিল্লি, পঞ্জাবে
দিল্লি ও পঞ্জাব সরকার জানিয়ে দিয়েছে, ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনে তাদের রাজ্যে কোনও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
৭ মে পর্যন্ত লকডাউন তেলেঙ্গানায়
অন্যদিকে লকডাউনে ছাড় না দেওয়ার কথা জানিয়ে তেলেঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও-এ সরকার জানিয়েছে, সেখানে লকডাউন চলবে ৭ মে পর্যন্ত।
সোমবার সিদ্ধান্ত জানাবে কর্নাটক
তবে কর্নাটক সরকার অপেক্ষা করা ও দেখার নীতি নিয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানে লকডাউন তোলার কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। তবে লকডাউন ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হবে কিনা, তা সোমবারের ক্যাবিনেট বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কেন্দ্র দেখতে চাইছে কাজ শুরু করে সংক্রমণ বাড়ে কিনা
২৪ মার্চ মধ্যরাত থেকে লকডাউন চালু হয়েছে সারা দেশে। সোমবার সেই লকডাউনের ২৬ তম দিন। যার প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। একদিকে মহামারী করোনার বিরুদ্ধে লড়াই, অন্যদিকে অর্থনীতিকে সচল করার চেষ্টা, দুই কাজই একসঙ্গে করতে চাইছে মোদী সরকার। পাশাপাশি কিছুটা কাজ শুরু করে দেখা, করোনা আদৌ ছড়িয়ে পড়ছে কিনা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি নতুন সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে সারা দেশে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে টেস্টের ব্যবস্থাই করা হয়নি। সেখান থেকে বলা খুব মুশকিল, দেশে সংক্রমণ কমছে কিনা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে জানিয়েছেন, ভারতে ১৭ মার্চ নাগাদ সংক্রণের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে ৩.৪ দিনে, ২৫ মার্চ নাগাদ দ্বিগুণ হয়েছে ৪.৪ দিনে। বর্তমানে তা দ্বিগুণ হচ্ছে ৭.৪ দিনে।
২০ এপ্রিল থেকে কেন্দ্রের ছাড়
কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট কারণে ব্যক্তিগত গাড়ি, ই-কমার্স, পণ্য পরিবহণ, পরিষেবা, জরুরি পরিষেবা, কৃষিকাজ, নির্মাণ কাজে অনুমতি দেওয়া হয়েছে ২০ এপ্রিল থেকে।
তবে ২০ এপ্রিল থেকে ৩ মে-র মধ্যে চলবে না ট্রেন, মেট্রো, সাধারণের জন্য বাস। আপাতত ভাবে হোটেল, লজ সবই বন্ধ থাকবে। গুটকা ও তামাকজাত দ্রব্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যেখানে সেখানে থুতু ফেলাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মেনে চলতে হবে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং।