তেলেঙ্গানা নাকি রায়ল তেলেঙ্গানা? আবার পাকছে জট
চলতি বছরের ৩ অক্টোবর ভারতের ২৯তম রাজ্য গঠনের ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দেয় কংগ্রেস হাইকমান্ড। নয়া রাজ্য-সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে একটি মন্ত্রীগোষ্ঠীও গঠন করা হয়। তারা রিপোর্ট পেশ করে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে তৈরি হয় তেলেঙ্গানা রাজ্য খসড়া বিল। গত শুক্রবার কংগ্রেস কোর কমিটির বৈঠকে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের প্রস্তাবে সায় দেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এর পর থেকেই গোটা ব্যাপার ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়। কংগ্রেসের একাংশ দাবি করে, সোনিয়া গান্ধী নাকি বলেছেন, তেলেঙ্গানার সঙ্গে কুর্নুল ও অনন্তপুর জেলা জুড়ে দেওয়া হোক। সেক্ষেত্রে নতুন রাজ্যের নাম হোক রায়ল তেলেঙ্গানা (রায়লসীমা ও তেলেঙ্গানা)। মন্ত্রীগোষ্ঠীকে এ ব্যাপারে ফের খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি।
অন্ধ্রের কংগ্রেস নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এস জয়পাল রেড্ডি এর সত্যতা স্বীকার করেননি। তবে, রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দামোদর রাজা নরসীমা বলেছেন, জয়রাম রমেশ রায়ল তেলেঙ্গানার ব্যাপারে তাঁর মতামত চেয়েছেন। কংগ্রেস কোর কমিটির বৈঠকে দামোদর রাজা নরসীমা এই রায়ল তেলেঙ্গানার প্রস্তাব মানতে চাননি। কিন্তু, এখন দলীয় হাইকমান্ড চাপ দিয়ে সম্মতি আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। তেলেঙ্গানা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ভি বিনোদ কুমার বলেছেন, এই প্রস্তাব তাঁরা মানবেন না। রায়ল তেলেঙ্গানা কিছুতেই নয়। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও ফের অনশনের হুমকি দিয়েছেন। রাজ্য বিজেপি-র নেতা বিদ্যাসাগর রাও জানান, তাঁর দল সংসদ ও রাজ্য বিধানসভায় এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করবে।
তেলেঙ্গানাপন্থীদের অভিযোগ, কংগ্রেস আসলে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠন করতে দিতে চায় না। এবার তাই নতুন করে সঙ্কট তৈরি করছে তারা। আর যিনি কংগ্রেস কোর কমিটির বৈঠকে রায়ল তেলেঙ্গানা নিয়ে প্রথম সোনিয়া গান্ধীকে বুঝিয়েছেন, সেই গুলাম নবি আজাদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।