সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে সরকারের কাছে প্রমাণ চাইলেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী
সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে সরকারের কাছে প্রমাণ চাইলেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী
তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও রবিবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে মাসে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণ চাইলেন।
রাও বলেছেন, 'আমি আজও প্রমাণ চাইছি। ভারত সরকার দেখান প্রমাণ। বিজেপি মিথ্যা প্রচার করে তাই মানুষ এটা আজও জানতে চাইছে'। তিনি বলেন, 'বিজেপি রাজনৈতিকভাবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ব্যবহার করছে। সেনাবাহিনী সীমান্তে যুদ্ধ করছে।' যদি কেউ মারা যায়, তাহলে সে সেনা সদস্য, এবং তাদের কৃতিত্ব দেওয়া উচিত, বিজেপিকে নয় বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের প্রমাণের ইস্যুতে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন।সেই প্রসঙ্গেই রাও এই মন্তব্য করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব শর্মা বলেছিলেন, 'এই লোকদের মানসিকতা দেখুন। জেনারেল বিপিন রাওয়াত ছিলেন দেশের গর্ব। তাঁর নেতৃত্বে ভারত পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল। রাহুল গান্ধী স্ট্রাইকের প্রমাণ চেয়েছিলেন। আমরা কি কখনও জিজ্ঞাসা করেছি? আপনি রাজীব গান্ধীর ছেলে কি না তা প্রমাণের জন্য? সেনাবাহিনীর কাছে প্রমাণ চাওয়ার অধিকার আপনার কী আছে?'
ঘটনার ঘনঘটা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী বললেন অবাধ ভোট, পাল্টা প্রতিক্রিয়া বিরোধীদের
এরপর, তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী মূলত রাহুল গান্ধী সম্পর্কে বিশ্ব শর্মারর মন্তব্যের জন্য তাকে বরখাস্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি প্রধান জগৎ প্রকাশ নাড্ডাকে অনুরোধ করেছিলেন। কেসিআরকে পাল্টা আঘাত করে বিশ্ব শর্মা রাও খোঁচা দিয়েছিলেন এই বলে যে এটি ওদের নিম্ন মানসিকতার পরিচয় দেয়। বিশ্ব শর্মা বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি যে সেনাবাহিনীকে প্রশ্ন করা তারা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে কি না তা সবচেয়ে বড় অপরাধ। তিনি (তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর) কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সম্পর্কে আমার মন্তব্যে উত্তেজিত হয়েছিলেন কিন্তু আমাদের সেনাবাহিনী সম্পর্কে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যে নয়'।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারতীয় সেনাবাহিনী উরির বেস ক্যাম্পে !১৯ ভারতীয় সেনা সৈন্য নিহত হওয়ার পর সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) একটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছিল। তা নিয়েই দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বাকযুদ্ধ চলছিল।