সিএএ- আন্দোলনের জেরে ২৪.২ মিলিয়ন টাকার ক্ষতি টেলিকম কোম্পানিগুলির
সিএএ আন্দোলনের জেরে দফায় দফায় একাধিক জায়গায় ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
সিএএ আন্দোলনের জেরে দফায় দফায় একাধিক জায়গায় ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তার জেরে প্রায় ২৪.২ মিলিয়ন টাকার ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে টেলিকম কোম্পানিগুলিকে। প্রতি ঘণ্টায় এই বিপুল পরিমান টাকা ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে তাঁদের।
সিএএ-র প্রতিবাদে আন্দোলন
মোদী সরকারের সিএএ সিদ্ধান্তের পরেই গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন শুরু হয়েছে। অসমে প্রথমে শুরু হয় হিংসাত্মক আন্দোলন। সেখান থেকে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, কলকাতা, কর্নাটক এমনকী গুজরাটেও। একাধিক জায়গায় সিএএ বিরোধী আন্দোলন হিংসাত্মক আকার নিয়েছিল। বাধ্য হয়ে একাধিক জায়গায় কার্ফু জারি করতে হয়েছে প্রশাসনকে।
বন্ধ ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবা
সিএএ বিরোধী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে দফায় দফায় ভারতের একাধিক রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে সরকার। রাজধানী দিল্লিতেও দফায় দফা বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। অসমে তো দীর্ঘ ১০ দিন বন্ধ ছিল ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবা। উত্তর প্রদেশের ১১িট জায়গায় এখনও বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। পশ্চিমবঙ্গেও বেশ কিছুদিন বন্ধ করা হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা।
বিপুল ক্ষতি টেলিকম সংস্থাগুলির
সিএএ আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক জায়গায় ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে বিপুল ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে টেলিকম সংস্থাগুলিকে। ঘণ্টায় ২৪.২ মিলিয়ন টাকা ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে তাদের। এয়ারটেল, ভোডাফোন, জিও সহ একাধিক টেলিকম সংস্থাকে এই ক্ষতি স্বীকার করতে হয়েছে। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে টারিফও বাড়াতে হয়েছে সংস্থাগুলিকে। সেই কারণে গ্রাহক সংখ্যাতেও অনেকটাই প্রভাব পড়েছে। তার উপরে এই বিপুল ক্ষতি। সংকট তৈরি করেছে টেলিকম সংস্থাগুলির।