স্বামীকে খুন করে ধামাচাপার চেষ্টা, মাংসের স্যুপে ধরা পড়ল সত্য,জানুন এই হাড়হিম করা কাণ্ড
বিবাহ বহির্ভূত প্রেমে জড়িয়ে তেলাঙ্গানার ৩৪ বছরের স্বাতী রেড্ডি যেভাবে তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছেন তা রীতিমত শিউরে ওঠার মতো ঘটনা।
বিবাহ বহির্ভূত প্রেমে জড়িয়ে তেলাঙ্গানার ৩৪ বছরের স্বাতী রেড্ডি যেভাবে তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছেন তা রীতিমত শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। শুধু স্বামী হত্যাই নয়, পাশাপাশি নিজের প্রেমিককে কাছে পেতে যে কাণ্ড করেছে সে, তা তাজ্জব বানিয়েছে অনেককেই। আর এই সবটাই হয়েছে দক্ষিণী ছবি 'ইভড়ু'থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে।
পেশায় নার্স স্বাতী তার স্বামী সুধাকরকে অ্যানাস্থেশিয়া ইনজেকশন দেয় ২৭ নভেম্বর। সুধাকর অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাঁকে স্বাতী ও তার প্রেমিক রাজেশ মিলে মাথায় আঘাত করে মেরে ফেলে। এরপর তারা সুধাকরের মুখ এমন করে ক্ষতবিক্ষত করে যাতে তাঁকে চিনতে না পারা যায়। আর সেই ভাবেই সুধাকরের দেহ লোপাট করে দেয় তারা।
ছক এখানেই শেষ নয়। রুদ্ধশ্বাস এই হত্যাকাণ্ডে এরপর যুক্ত হয় আরেক পর্ব। স্বাতী নিজের প্রেমিক রাজেশের মুখে এরপরই পেট্রোল মিশ্রিত অ্যাসিড ছুরে দেয়। ফলে রাজেশের মুখ ক্ষতবিক্ষত হলে, তার মুখের প্লাস্টিক সার্জারির জন্য রাজেশকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় স্বাতী। এদিকে, সুধাকরের বাড়ির লোককে স্বাতী বলে যে কয়েকজন মিলে সুধাকরকে এমনভাবে মেরেছে যে সুধাকরের মুখ ক্ষতবিক্ষত হয়ে সে হাসপাতালে ভর্তি। পাশাপাশি স্বাতী শ্বশুরবাড়ির লোককে জানায় ,যে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সুধাকরের আগেই প্লাস্টিক সার্জারি দরকার।
হাসপাতালে সুধাকরের পরিবার পৌঁছতেই তাঁদের অনেক কিছু নিয়ে সন্দেহ হয়। প্রথমেই সন্দেহ জাগে খাদ্যাভ্যাস নিয়ে। মৃত সুধাকর আমিষ খেতেন, আর হাসপাতালে সুধাকরের নাম নিয়ে ভর্তি রাজেশ নিরামিষ খান। ফলে হাসপাতালে সুধাকর হিসাবে থাকা রাজেশকে মাংসের স্যুপ খাওয়াতে গেলে সে তা খেতে চায় না। ফলে এই সন্দেহ আরও বাড়ে। পুলিশে সুধাকরের পরিবার অভিযোগ দায়ের করলে, স্বাতী তার দোষ স্বীকার করে নেয়। সে জানিয়েছেন তেলুগু ছবি 'ইভড়ু' দেখে সে এই ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়েছে।