ধনীতম নেতা ছাড়লেন দল! নির্বাচনের মুখে ধাক্কা মুখ্যমন্ত্রীর
ক্ষমতাসীন টিআরএস ছাড়লেন তেলেঙ্গানার ধনীতম সাংসদ কে বিশ্বেশ্বর রেড্ডি। দল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুরনো দলের কাছে তিন পাতার সমালোচনামূলক চিঠি পাঠিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন টিআরএস ছাড়লেন তেলেঙ্গানার ধনীতম সাংসদ কে বিশ্বেশ্বর রেড্ডি। দল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি পুরনো দলের কাছে তিন পাতার সমালোচনামূলক চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি কংগ্রেসে যেতে পারেন বলে জল্পনা শুরু হয়েছে।
তেলেঙ্গানার ধনীতম সাংসদ
তেলেঙ্গানার ধনীতম সাংসদ হিসেবে পরিচিত কে বিশ্বেশ্বর রেড্ডি। তাঁর ঘোষিত সম্পত্তির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি।
টিআরএস-এর কাছে ধাক্কা
কে বিশ্বেশ্বর রেড্ডি দলত্যাগ ক্ষমতাসীন টিআরএস-এর কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে সেখানকার রাজনৈতিক মহল। দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকার জন্য সময়ের আগেই ভোটে গিয়েছেন কে চন্দ্রশেখর রাও। ৭ ডিসেম্বর তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রঙ্গা রেড্ডি জেলার চেভাল্লা সংসদীয় কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত এই নেতা কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। এমাসের শেষের দিকে সনিয়া গান্ধী যখন রাজ্য সফরে যাবেন, সেই সময় কে বিশ্বেশ্বর রেড্ডি কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
ভোট বাক্সে পড়তে পারে প্রভাব
রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাবান রেড্ডি কমিউনিটির সদস্য কে বিশ্বেশ্বর রেড্ডি দল ছাড়ার প্রভাব বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোটের বাক্সে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই নেতার অন্য এক পরিচিতিও রয়েছে। অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা প্রতাপ সি রেড্ডির জামাই। তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা রেড্ডি অ্যাপোলো হাসপাতালে ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
প্রযুক্তিবিদ থেকে রাজনীতিক হওয়া কে বিশ্বেশ্বর রেড্ডি তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতিতে যোগ স দিয়েছিলেন ২০১৩-তে। তাঁর ঠাকুরদা কোন্ডা ভেঙ্কট রঙ্গা রেড্ডি ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। যিনি অন্ধ্রপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছিলেন। তাঁর নামেই রঙ্গা রেড্ডি জেলার নামকরণ।
মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ক্ষোভ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, কে বিশ্বেশ্বর রেড্ডি দলের সিনিয়র নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাঁর মনে হয়েছিল, তাঁকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। দলের প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে লেখা চিঠিতে তিনি নিজের ক্ষোভও ব্যক্ত করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী দল ছাড়তে পারেন আইনসভার অপর সদস্য শীতরম নায়েক।
১১৭ সদস্যের বিধানসভায় টিআরএস-এর আসন সংখ্যা ৬৩। কংগ্রেসের রয়েছে ২২ জন সদস্য আর বিজেপি রয়েছে ৯ জন।
(ছবি সৌজন্য: পিটিআই)