'এনকাউন্টারই হবে, মহিলাদের দিকে কুদৃষ্টি দিলে চোখ উপড়ে নেব', তেলাঙ্গানা নিয়ে সরব রাজ্যের মন্ত্রী
'এনকাউন্টারই হবে, মহিলাদের দিকে কুদৃষ্টি দিলে চোখ উপড়ে নেব', তেলাঙ্গানা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মন্ত্রী
শুক্রবার ভোরে তেলাঙ্গানার নির্মম গণধর্ষণকাণ্ডে ৪ অভিযুক্তের এনকাউন্টারে নিকেশের খবর দেশে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল। ঘটনায় তেলাঙ্গানা পুলিশ সাফ জানিয়ে দেয়, অভিযুক্তরা পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পালাতে গিয়েই উল্টে বন্দুক চালায় পুলিশের দিকে, পাল্টা পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হয়। এরপরই পুলিশি এনকাউন্টারে ৪ অভিযুক্ত নিহত হয়। ঘটনা ঘিরে উচ্ছ্বাসের ছবি যেমন উঠে আসে সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকে,তেমনই সমালোচনার ঝড়ও উঠেছে বহুমহল থেকে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তেলাঙ্গানার মন্ত্রী তালাসানি শ্রীনিবাস।
'এনকাউন্টার হবে'
ধর্ষণে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মৃত্যু নিয়ে তেলাঙ্গানার মন্ত্রী তালাসনি শ্রীনিবাস জানান, 'এটা একটা শিক্ষা। আপনি যদি অন্যায় করেন, তাহলে কোনও বিচার ব্যবস্থা থেকেই ছাড়া পাবেননা। গ্রেফতারি বা জামিনে মুক্তি কেবলমাত্র মামলাকে দীর্ঘ করে। এরকম আর হবে না। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা বার্তা স্পষ্ট করেছি যে যদি তুমি অন্যায় করো বা জঘন্য অপরাধ করো তাহলে এনকাউন্টারই হবে।'
দেশের কাছে 'নিদর্শন'!
দেশ জুড়ে অনেকেই এভাবে আিনকে হাতে তুলে নেওয়ার বিরোধিতা করেছে তেলাঙ্গানা এনকাউন্টার মামলা নিয়ে। তবে , তেলাঙ্গানার মন্ত্রী বলছেন, সারা দেশের কাছে এই ঘটনা একটি 'নিদর্শন' হয়ে থাকবে বলে দাবি করেছেন তিনি। তেলাঙ্গানার মন্ত্রীর দাবি, 'শুধুমাত্র আমরা আমাদের ওয়েলফেয়ার স্কিমের মাধ্যমেই নয়, আইন রক্ষা নিয়েও সারা দেশের কাছে আমরা মডেল হয়ে উঠছি।'
'গোটা রাজ্য গর্বিত'
তেলাঙ্গানার মন্ত্রী জানান, এনকাউন্টার নিয়ে গোটা রাজ্য গর্বিত। পুলিশকে নিয়ে রীতিমতো খুশি মানুষ। তিনি বলেন,' আমারা দেখিয়েছি কেউ যদি আমাদের মেয়েদের দিকে খারাপ চোখে তাকায় তাহলে তার চোখ উপড়ে নেব আমরা।'
তেলাঙ্গানা জুড়ে উল্লাসে ফেটে পড়ে জনতা
২৬ বছরের পশুচিকিৎসককে নারকীয় গণধর্ষণের পর জ্বলন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় গোটা তেলাঙ্গানা জুড়ে ক্ষোভ বাড়ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। যার পরই ঘটে যায় পুলিশি এনকাউন্টার। ঘটনায় ধর্ষণে অভিযুক্ত ৪ জনের মৃত্যু হয়। এরপর পুলিশকে ঘিরে উল্লাসে ফেটে পড়ে জনতা। পুলিশকে কাঁধে তুলে নাচতে দেখা যায় তেলাঙ্গানার মানুষকে।
ধর্ষণের পর আসবেন! অভিযোগকারীর বর্ণনায় নির্লিপ্ত যোগীর পুলিশ