দৈনিক আক্রান্ত–মৃত্যুর মাঝে তেলেঙ্গনায় দেখা দিল টেস্টিং কিট সঙ্কট, ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বহু মানুষকে
তেলেঙ্গনায় দেখা দিল টেস্টিং কিট সঙ্কট
দেশজুড়ে করোনা ভাইরাস দাপটের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবনতি দেখা গিয়েছে। কোথাও বেড নেই তো কোথাও অক্সিজেনের হাহাকার দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই নতুন সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে তেলেঙ্গনায়। যেখানে টেস্টিং কিটের অভাবে বহু টেস্টিং কেন্দ্রই মানুষকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। যার ফলে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে।
রাজ্যের একাধিক করোনা টেস্ট কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী এটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে আইনতভাবে টেস্টিং কেন্দ্রের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া রয়েছে যে তাঁরা শুধু উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদেরই টেস্ট করতে পারবেন। অথচ বহু জায়গাতেই উপসর্গ নেই অথবা করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছে এবং তাঁদের করোনা টেস্ট করা প্রয়োজন, তাঁদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রী এটালা রাজেন্দরের অফিস থেকে জাপি হওয়া একটি বিবৃতিতে বলা হয় যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে এটালা জানিয়ে ছিলেন যে বিশ্বের যে কোনও জায়গা থেকে বিমানে করে টেস্টিং কিট তেলঙ্গানায় পৌঁছে দেওয়া হোক। তবে রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন যে আর যাতে কেউ টেস্টিং করাতে এসে ফিরে না যায় সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
করোনা টেস্ট করতে না পেরে মানুষ ঠিক সেই সমযই ফিরে যাচ্ছেন যখন রাজ্যে নতুন কোভিড কেস ও মৃত্যু দেখা দিচ্ছে প্রতিদিন। এবার দেখে নেওয়া যাক রাজ্যে করোনা টেস্ট এক ঝলকেঃ
১৭ এপ্রিল–১২৯৬৩৭১৮ এপ্রিল–৮৩০৮৯
১৯ এপ্রিল–১২২১৪৩
২০ এপ্রিল–১৩০১০৫
২১ এপ্রিল–১০২৩৩৫
২২ এপ্রিল–১০৫৬০২
২৩ এপ্রিল–১০৩৭৭০
করোনার কোপে জগন্নাথ ধামও! বন্ধ পুরীর মন্দির, সতর্কতামূলক বিবিধ ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের
প্রসঙ্গত মঙ্গলবার থেকে তেলেঙ্গনায় জারি হয় নৈশ কার্ফু। সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নৈশ কার্ফু বলবৎ থাকবে সে রাজ্যে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত সমস্ত অফিস, রেস্তোরাঁ, সিনেমা হল, দোকান-বাজার বন্ধ থাকবে রাজ্যে। ছাড় পাবে, হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন চিকিৎসা পরিষেবা ব্যবস্থা এবং অন্যান্য অত্যাবশকীয় পরিষেবা। প্রসঙ্গত, সোমবারই হায়দরাবাদ হাইকোর্ট তেলেঙ্গনা সরকারকে নৈশ কার্ফু বা লকডাউন জারির জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়েছিল।