মমতার পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব এই মুখ্যমন্ত্রীও! কী নিয়ে সুর চড়ল মোদীর বৈঠকে?
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী ও সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। সেই বৈঠকেই কেন্দ্রের আংশিক রেল পরিষেবা চালু করার ঘোর বিরোধিতা করেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। দেশের ধুঁকে পড়া অর্থনীতি নিয়ে যথেষ্ট বিপাকে মোদী সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে রেল পরিষেবা চালু করার পক্ষে অনেকেই সওয়াল করেছিলেন।
নিয়ম না জেনে হয়রানির শিকার! রেলে বাড়ি ফিরতে স্টেশনে ভিড় পরিযায়ী শ্রমিকদের
মোদীকে যা বলেন কেসিআর
তবে এদিন মোদীর সামনে কেসির জোর গলায় রেল পরিষেবা চালুর বিরোধিতা করে বলেন, 'আমরা করোনা রেধে পুরোপুরি তৈরি। তবে আমি মনে করি রেল পরিষেবা চালু করা ভুল। আমরা এভাবে করোনা রোধ করতে পারব না। আমি কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে রেল পরিষেবা এখন স্থগিত রাখা হয়।'
কেসিআর-এর রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমণ
এদিকে তেলাঙ্গানায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ জন। গতকাল তাঁদের রিপোর্টে কোরোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই নিয়ে তেলাঙ্গানায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১ হাজার ১৯৬ জন। তেলাঙ্গানায় নতুন করে সংক্রমিত এই ৩৩ জনের মধ্যে ২৬ জন গ্রেটার হায়দরাবাদ পৌরনিগম এলাকার।
ভিনরাজ্য থেকে তেলাঙ্গানাতে এসে করোনা আক্রান্ত
সংক্রমিতদের মধ্যে বাকি সাতজন সম্প্রতি ভিনরাজ্য থেকে ফিরেছেন। তাঁরা ইয়াদাদরি ভুবনগিরি জেলার বাসিন্দা। এই নিয়ে তেলাঙ্গানায় ভিনরাজ্য থেকে ফেরা ১১ জন কোরোনায় আক্রান্ত হলেন। তেলাঙ্গানার যে তিনটি জেলায় এতদিন পর্যন্ত কোনও করোনা আক্রান্তের হদিস মেলেনি তার মধ্যে এই ইয়াদদরিও ছিল।
পরিযায়ী শ্রমিকরা কি আদৌ রেলের নিয়মের বিষয়ে অবগত?
দেশে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন চালু হয়েছিল ২৫ মার্চ। তার আগের থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রেলের যাত্রী পরিষেবা। প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় সেই পরিষেবা বন্ধ থাকার পর এবার ধীরে ধীরে ফের চালু হতে চলেছে রেল পরিষেবা। তবে এই পরিষেবা পেতে আগ্রহী পরিযায়ী শ্রমিকরা কি আদৌ রেলের নিয়মের বিষয়ে অবগত? উঠেছে প্রশ্ন।
দেশের বিভিন্ন স্টেশনে শ্রমিকদের ভিড়
এদিন অনলাইনের বিষয়টি না জেনেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের স্টেশনে ভিড় করেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। স্টেশনে স্টেশনে এই ভিড়ের জেরে লকডাউন ভঙ্গ হয় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দিল্লিতেও এদিন পরিযায়ী শ্রমিকরা স্টেশনে ভিড় করেছিলেন। তবে টিকিট না পেয়ে হতাশ হতে হয় তাদের। এদের বেশির ভাগের কাছেই স্মার্ট ফোন নেই। আর তা থাকলেও রেলের ওয়েবসাইটে বুকিং কী করে করতে হয় তা জানা নেই তাদের।