জন্ম নিল তেলেঙ্গানা, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ চন্দ্রশেখর রাওয়ের

সোমবার থেকে বদলে গেল অন্ধ্রপ্রদেশের মানচিত্র। সীমান্ধ্র ও রায়লসীমা নিয়ে পড়ে রইল অবশিষ্ট অন্ধ্রপ্রদেশ আর দশটি জেলা নিয়ে গঠিত হল তেলেঙ্গানা রাজ্য। যে দশটি জেলা নবগঠিত রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হল, সেইগুলি হল হায়দরাবাদ, আদিলাবাদ, খাম্মাম, করিমনগর, মেহবুবনগর, মেডক, নলগোন্ডা, রঙ্গারেড্ডি এবং ওয়ারঙ্গল। ২০২৪ সাল পর্যন্ত অবশিষ্ট অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানার রাজধানী থাকছে হায়দরাবাদ।
<blockquote class="twitter-tweet blockquote" lang="en"><p>K.Chandrasekhar Rao takes oath as Chief Minister of India's 29th State, Telangana <a href="http://t.co/0gHlp3qDIi">pic.twitter.com/0gHlp3qDIi</a></p>— ANI (@ANI_news) <a href="https://twitter.com/ANI_news/statuses/473297574758068224">June 2, 2014</a></blockquote> <script async src="//platform.twitter.com/widgets.js" charset="utf-8"></script>এদিন সকাল সওয়া আটটায় তেলেঙ্গানা রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন কে চন্দ্রশেখর রাও। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্যপাল ই এস এল নরসিংহম। চন্দ্রশেখর রাওয়ের পর একে একে তাঁর অন্যান্য মন্ত্রীরাও শপথ নেন। এর ফলে তেলেঙ্গানায় জারি থাকা রাষ্ট্রপতি শাসনের অবসান ঘটল। যদিও অবশিষ্ট অন্ধ্রপ্রদেশে আগামী ৮ জুন পর্যন্ত জারি থাকবে রাষ্ট্রপতি শাসন। ওইদিন অবশিষ্ট অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন চন্দ্রবাবু নাইডু।
নতুন রাজ্যের জন্ম উপলক্ষে গতকাল রাত থেকেই হায়দরাবাদে শুরু হয় উৎসব। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সমর্থকরা তাঁদের গোলাপি পতাকায় মুড়ে দেন শহর। পোড়ে আতশবাজি। হায়দরাবাদ ছাড়াও তেলেঙ্গানার অন্যান্য অঞ্চলেও উৎসব হয়। অন্যদিকে, সীমান্ধ্রের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ হয়। তবে হিংসার খবর নেই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, "বহু বছরের সংগ্রাম ও অনেক মানুষের ত্যাগের ফলে তেলেঙ্গানা জন্ম নিয়েছে। সেই মানুষদের শ্রদ্ধা জানাই।" তিনি আরও জানিয়েছেন, তেলেঙ্গানার উন্নয়নে সরকার সব রকমভাবে সহায়তা করবে।
আপাতত হায়দরাবাদের সচিবালয় থেকে চলবে দুই রাজ্যের প্রশাসন। এ জন্য সচিবালয়কে দু'ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একদিকে বসবেন তেলেঙ্গানার কর্মীরা। অন্যদিকে অবশিষ্ট অন্ধ্রপ্রদেশের কর্মীরা। একইভাবে বিধানসভা ভবনও ভাগাভাগি করা হয়েছে। অবশিষ্ট অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী কোথায় হবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। বিজয়ওয়াডা, গুন্টুর, কুর্নুল ইত্যাদি নানা নাম ভাসছে।
তেলেঙ্গানা রাজ্য আত্মপ্রকাশ করার পর দেশের যে তিনটি অঞ্চল আলাদা রাজ্যের দাবিতে তপ্ত হয়ে উঠতে পারে, সেইগুলি হল বিদর্ভ, দার্জিলিং এবং অসমের বোড়ো-অধ্যুষিত এলাকা। মহারাষ্ট্র ভেঙে বিদর্ভ, পশ্চিমবঙ্গ ভেঙে দার্জিলিং এবং অসম ভেঙে বোড়োল্যান্ড তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। তেলেঙ্গানার পর এই দাবিগুলিও ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা।