নীতীশ শিবিরে থাকা শ্বশুরের হারে আরও মধুর লালুপুত্র তেজপ্রতাপের জয়
পিছিয়ে পড়েও জয় পেলেন আরজেডি নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদব। মাঝে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন। শেষপর্যন্ত আরজেডির গড় হিসাবে পরিচিত হাসানপুরে জিতে যান তেজপ্রতাপ যাদব। জেডিইউ প্রার্থীকে হারিয়ে যাদব কূলের মুখরক্ষা করতে সক্ষম হন তিনি।

আরজেডির জন্য সুরক্ষিত আসন হিসাবে পরিচিত হাসানপুর
হাসানপুর আসন চিরকালই আরজেডির জন্য সুরক্ষিত আসন হিসাবে পরিচিত। সেই আসনে প্রথম কয়েক রাউন্ডে পিছিয়ে পড়েছিলেন তেজপ্রতাপ। তবে পরের রাউন্ডে সেই ব্যবধান কমিয়ে শেষ পর্যন্ত জিতে যান তেজপ্রতাপ যাদব। এদিকে তেজপ্রতাপের শ্বশুর তথা সদ্য জেডিইউতে যোগ দেওয়া চন্দ্রিকা রাই হেরে গিয়েছেন। বিহারের পরসা থেকে লড়াই করে হেরে যান তিনি।

তেজ প্রতাপের সঙ্গে বিয়ে ঐশ্বর্যের
২০১৮ সালে লালু প্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজ প্রতাপের সঙ্গে বিয়ে হয় বিশিষ্ট রাজনীতিক চন্দ্রিকা রাইয়ের মেয়ে ঐশ্বর্য রাইয়ের৷ বেশ কিছুদিন আগে পরিবারের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন তিনি৷ অভিযোগ, পরিবারের লোকেরা তাঁর উপর প্রায়ই অত্যাচার চালাতেন৷ এরপরেই তিনি শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন ৷ কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও করেন৷ বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে৷

ঐশ্বর্যের জন্যে আশন ছেড়েছেন লালুপুত্র?
এর আগে ২০১৫ সালের বিহার বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে বৈশালী জেলার মহুয়া কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে বিধানসভায় পা রেখেছিলেন তেজপ্রতাপ। এবার সেই কেন্দ্র পরিত্যাগ করেন তিনি। তবে এবার সেই আসনে না দাঁড়িয়ে হাসানপুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তেজপ্রতাপ। অনেক বিশেষজ্ঞের মত, নিজের স্ত্রী ঐশ্বর্য রাইয়ের জন্যে সেই আসন ছেড়ে দিয়েছিলেন তেজপ্রতাপ।

লালু ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত ছিলেন চন্দ্রিকা
চন্দ্রিকা রাই এর আগে আরজেডির সদস্য ছিলেন৷ কিন্তু, পারিবারিক তিক্ততার জেরে তিনি লালু প্রসাদের হাত ছেড়ে নীতিশের হাত ধরেন৷ এবছর বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউর হয়ে পরসা থেকে লড়ছেন তিনি৷ ১৯৮৫ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে পরসা থেকে পাঁচবার জয়ী হয়েছেন চন্দ্রিকা রাই৷ এবার তিনি দল বদলে নীতীশের পাশে।