মহাজোটকে নেতৃত্ব দিতে পারে একমাত্র কংগ্রেসই, রাহুলের হয়ে সওয়াল এবার তেজস্বীর
বিজেপি বিরোধী জোটকে নেতৃত্বে দিতে পারে একমাত্র কংগ্রেসই। সাফ কথা লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবের। শনিবারই ব্রিগেডের মহাসমাবেশ থেকে মোদী-অপসারণের ডাক দিয়েছিলেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী।
বিজেপি বিরোধী জোটকে নেতৃত্বে দিতে পারে একমাত্র কংগ্রেসই। সাফ কথা লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবের। শনিবারই ব্রিগেডের মহাসমাবেশ থেকে মোদী-অপসারণের ডাক দিয়েছিলেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী। ২২টি দলের মহাজোটের মঞ্চ থেকে এক সুরে আওয়াজ তুলেছিলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। সমাবেশের পরদিন তিনি স্পষ্ট করে দিলেন বিরোধী জোটকে নেতৃত্বে দিতে পারে কংগ্রেসই।
বদলে গেল লালু-পুত্রের মত
ব্রিগেডের সমাবেশ থেকে সবাই ঐক্যমত্য হয়েছিলেন, প্রথম লক্ষ্য কেন্দ্রের সরকারের পরিবর্তন। পরে স্থির হবে কে হবেন জোটের নেতা, কে হবেন দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। যৌথ নেতৃত্বেই চলবে বিরোধী মহাজোট। একদিনের মধ্যেই মত বদলে লালু-পুত্র বললেন কংগ্রেসের নেতৃত্বই মানতে হবে বিরোধী সবাইকে।
তেজস্বীর যুক্তিতে কংগ্রেস
তিনি শুধু বললেন না, যুক্তিও দিলেন তাঁর কথার। আরজেডি নেতার কথায়, সারা দেশে সাংগঠনিক শখ্তির বিচারে কংগ্রেসই বিজেপির প্রধান চ্যালেঞ্জার। তাঁরা অনেক রাজ্যে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো অবস্থায় রয়েছে এককভাবে। অন্য অনেক রাজ্যেও তাঁরা শক্তিশালী। তারপর রয়েছে বিজেপির সঙ্গে লড়াইয়ে জেকার পূর্ব অভিজ্ঞতা।
কংগ্রেসই সেরা বিকল্প
সেই কারণেই বিরোধীদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য কংগ্রেসেই আদর্শ, কংগ্রেসই সেরা বিকল্প। ইতিমধ্যেই তৃণমূল দাবি তুলতে শুরু করেছে, ব্রিগেডের সফল সমাবেশ ও বিরোধী সমস্ত দলকে এক মঞ্চে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছেন। অন্য দিকে কংগ্রেস তো বটেই, অন্য বিরোধী নেতারাও মনে করেন, রাহুল গান্ধীই জোটের নেতার মূল দাবিদার।
কংগ্রেসকেই নেতৃত্বে মানতে হবে
কংগ্রেস বড় দল, তারা নমনীয়তা দেখাচ্ছে, তা জোটের পক্ষে খুবই ভালো, তা বলে কংগ্রেসকে উপেক্ষা করা যাবে না। বরং কংগ্রেসকেই নেতৃত্বে মানতে হবে। এর আগে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এবং জোটের নেতা হিসেবে রাহুলকেই মান্যতা দিয়েছিলেন ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন। শারদ পাওয়ারেরও তেমনই অভিমত। এবার তেজস্বীও জানিয়ে দিলেন তাঁর দলের ইচ্ছা।
আরও উদারতা দেখাতে হবে
তিনি এদিন কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনের আগে হোক বা পরে কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানতে কোনও আপত্তি নেই তাঁদের। কিন্তু কংগ্রেসকেও বুঝতে হবে বিভিন্ন রাজ্যের বাস্তাব পরিস্থিতি। সেইমতো নেতৃত্বে আরও উদারতা দেখাতে হবে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে একসঙ্গে চলতে হবে।