হাজতে যাবেন লালু পুত্র তেজস্বীও? বিহার নির্বাচনের আগে সিবিআই জুজুতে চড়ছে পারদ
বিহারে বহিষ্কৃত আরজেডি নেতাকে খুনের ঘটনায় তেজস্বী যাদব ও তেজ প্রতাপ যাদব সহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর এরপরই তেজস্বী যাদব দাবি তোলেন যে এই মামলা সিবিআইকে হস্তান্তর করা হোক, নয়ত তাঁকে গ্রেফতার করা হোক। নির্বাচনের আগে এরকম একটি বিষয় নিয়ে ক্রমেই পারদ চড়ছে বিহারে।

কী বললেন তেজস্বী?
এদিন তেজস্বী এই বিষয়ে বলেন, 'আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করা হোক, নয়ত দলিত নেতা খুনের এই মামলাটি সিবিআইকে হস্তান্তর করা হোক। আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। আর নীতীশ কুমার যেন ভুলে না যান, আমি যখন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলাম, তখন ইচ্ছা করলে তাঁকে হাজতে পাঠাতে পারতাম।'

অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, দাবি তেজস্বীর
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ বিশাল শর্মা জানান, সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা গুলি করে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়েছে। যদিও এই মামলায় তাঁর নাম জড়ানোর বিষয়ে তেজস্বীর জবাব, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

মৃতের স্ত্রীর জবানবন্দি
এসপি বিশাল শর্মা জানান, স্কার্ফ দিয়ে মুখ ঢেকে তিন দুষ্কৃতী আরজেডি-র প্রাক্তন সম্পাদক শক্তি মালিককে হত্য়া করে । আজ সুনিতা দেবী ছাড়াও লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব, তেজ প্রতাপ যাদব, অনিল সাধু, কালো পাসওয়ান ও মনোজ পাসওয়ানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। মৃতের স্ত্রীর জবানবন্দিতেই ওই ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযুক্তের তালিকা করা হয়েছে।

আরও যা বলছে পুলিশ
তিনি আরও জানান, শক্তি মালিকের ফোন খতিয়ে দেখে এবং আত্মীয় স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর তাঁকে আরজেডি দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত কালো পাসওয়ানের সঙ্গে শক্তি মালিকের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল এবং দু'জনই বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রায়ই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন।
সুপ্রিমকোর্টের ধমকে হাথরাসে অতি তৎপরতা, নির্যাতিতার পরিবারের উপর 'নজর' যোগীর