পাটনায় সিএএ বিরোধী মিছিলের নেতৃত্বে তেজস্বী, বিহার বনধে হিংসা আটকাতে আটক ১০০০
এ যেন শুধুই সিএএ বিরোধী বিক্ষওভ প্রদর্শন ছিল না। ২০২০-তে অনুষ্ঠইত হতে চলা বিধআনসভা ভোটের আগে শক্তি প্রদর্শনও যেন বিহারে আজকের বনধের পিছনে লক্ষঅয ছিল আরজেডির। এবং এর জেরেই বিক্ষওভএর নামে অনেক জায়গাতেই রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সহ পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় আরজেডি কর্মীদের। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ও হিংসাআটকাতে পুলিশ ১০০০-এর বেশি আরজেডি কর্মীদের আটক করতে বাধ্য হয়।
পাটনায় সিএএ বিরোধী এক সভা ডাকেন আরজেডি নেতা
আজ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের মাঝেই দুপুরে পাটনায় সিএএ বিরোধী এক সভা ডাকেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। সঙ্গে ছিলেন দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা। সেখাব থেকে এক মিছিল বের করার কথা ছিল তেজস্বী ও তাঁর সমর্থকদের। মিছিলে হাঁটার আগে তেজস্বী একটি প্ল্যাকার্ড হাতে নেন। তাতে লেখা ছিল, 'আমি এক হিন্দু, আমি ভারতীয়, আমি সংবিধান মানি কিন্তু আমি এনআরসি ও সিএএ মানি না।'
|
রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ
আজ সকালে এরকমই এক প্ল্যাকার্ড দেখা গিয়েছিল এক মোষের গলায়। বিহারের বৈশালি জেলার ভগবানপুরে মহিষ নিয়ে পথে নেমেছেন আরজেডি সমর্করা। সেই মোষের গায়ে লেখা প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে লেখা, 'আমি এনআরসি, সিএএ মানি না।' পাশাপাশি ৭৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করছেন তাঁরা। আপাতত যান চলাচল বন্ধ। রাস্তায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
|
সিএএ বিরোধে বনধের ডাক
আজকে বিহার জুড়ে এই বনধের ডাক দেওয়া তেজস্বী যাবদ বলেন, 'প্রতি বছর রাজ্যে বন্যা হয় যাতে গরিব সাধারণ মানুষের সর্বস্ব ভেসে চলে যায়। নথিও চলে যায় তার সঙ্গে। এরা কী করে তাদের নথ জমা দিয়ে নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করবে? এই সিএএ ও এনআরসি জনবিরোধী। আমরা এর প্রতিবাদ করছি।'