নস্যাৎ মোদীর দাবি, 'লণ্ঠন'-এর আলোয় নীতীশের 'অকর্মণ্যতা' তুলে ধরলেন তেজস্বী
ফের পরিযায়ী ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে আক্রমণ শানালেন আরজেডি নেতা তথা বিরোধী মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদ প্রার্থী তেজস্বী যাদব। এদিন বিহারের নাওয়াদা জেলায় এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা রাখার সময় পরিযায়ী ইস্যু ছাড়াও ফের একবার রাজ্যের বেকারত্বকে তুলে ধরেন তেজস্বী যাদব। এদিকে নীতীশ কুমারের ব্যর্থতার খতিয়ান তুলে ধরে এদিন বকলমে প্রধানমন্ত্রী মোদীর দাবিকে নস্যাৎ করলেন তেজস্বী।
বিরোধীদের তোপের মুখে নীতীশ
পরিযায়ী ইস্যুতে এর আগেও একাধিকবার বিরোধীদের তোপের মুখে পড়েছিলেন নীতীশ কুমার। তবে এদিন বিহারের নির্বাচনী ময়দানে অভিষেক ঘটিনে প্রধানমন্ত্রী দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে প্রায় সেই একই সময় রাজ্যের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে তেজস্বী প্রধানমন্ত্রী মোদীর সেই দাবিকে উড়িয়ে দেন। আলোকপাত করেন নীতীশ কুমারের ব্যর্থতার উপর।
করোনার সময় নীতীশ নিজের বাড়িতে 'লুকিয়ে' ছিলেন
এদিন তেজস্বী অভিযোগ করেন, করোনা কালে পুরো সময় নীতীশ কুমার নিজের বাড়িতে 'লুকিয়ে' ছিলেন। সেই সময় সংক্রমণের ভয়ে মানুষের মাঝএই আসেননি নীতীশ কুমার। সেই সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হেঁটে হেঁটে রাজ্যে ফিরছিলেন লক্ষাধিক পপিযায়ী শ্রমিক। তবে তেজস্বীর অভিযোগ, সেই সময় কয়েক লক্ষ বিহারীর দিকে মন না দিয়ে শুধুমাত্র নিজের দিকে নজর দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নীতীশ মানুষের কথা ভাবেন না
এদিন নীতীশকে তোপ দেগে তেজস্বী বলেন, 'করোনা আবহে ৮৪ দিন পার হয়ে যাওয়ার পর শেষমেষ জনসমক্ষে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনও নিজের বাসভবন থেকে ২০ মিটার দূরে মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন গাড়ি কের।' নীতীশের এই মনোভাবকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানান তেজস্বী। তেজস্বীর দাবি, নীতীশের এই মনোভাবেই প্রতিফলিত হয়েছে যে তিনি কোনও ভাবেই মানুষের কথা ভাবেন না।
তেজস্বীর তোপ
তেজস্বী আরও বলেন, 'নীতীশ কুমার তাঁর মুখ্যমন্ত্রী বাসভবন থেকে ১৪৪ দিন বের হননি এই করোনা সময়ে। কিন্তু এখন তিনি রাজ্য চষে বেরাচ্ছেন। কেন? এখন ভোট চাইতে হবে। তাই এখন তিনি মানুষের মাঝে যাচ্ছেন। কিন্তু মানুষের প্রয়োজনে তিনি বাড়িতে নিজেকে বন্দি করে রেখেছিলেন। কারণ তিনি নিজের শরীরের চিন্তায় মগ্ন ছিলেন।'
পরিযায়ী হাতিয়ার
করোনার সময়ে বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিহারে ফিরেছেন প্পরায় ৩২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। দেশজুড়ে এই অতিমারীর মাঝে কাজ হারিয়ে রাজ্যে ফিরতে বাধ্য হয়েছিলেন তাঁরা। এই সময়ে নীতীশ কুমার 'কর্ম ক্ষমতা' বিশ্লেষণ কের পরিযায়ীদের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিলেও অধিকাংশ মানুষ কাজ পাননি। এবং এই অসন্তুষ্ট মানুষদের মনেই নিজের স্থান করে নিচ্ছেন তেজস্বী যাদব।
১০ লক্ষ সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি
অবশ্য পিছিয়ে নেই এনডিএ জোটও। তেজস্বীর ১০ লক্ষ সরকারি চাকরির বদলে ১৯ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পদ্ম শিবির। নীতীশের গদি বাঁচাতে শরিক বিজেপির তরফে প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে এসেছেন প্রচার করতে। তবে বিরোধীদের প্রশ্ন, বিগত ১৫ বছরের শাসনকালে যখন রাজ্যে কর্মসংস্থান করতে ব্যর্থ হয়েছেন নীতীশ, তখন তাঁর জোটের তরফে এই ১৯ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কতটা?
'পরিযায়ী' হাতিয়ারেই বিহারে নরেন্দ্র মোদীর 'পদ্ম' পুষ্করিণী ছারখারের ছক রাহুল গান্ধীর