নয়াদিল্লি : মুণ্ডুহীন বিকৃত দেহ উদ্ধার কিশোরের, হদিশ নেই হৃৎপিন্ড-গোপনঅঙ্গের
পুলিশ সূত্রের খবর, যুবকের নাম কুলদীপ। বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরেই পাওয়া গিয়েছে তাঁর ছিন্ন মৃতদেহ। কুলদীপের পরিবারের তরফে দাবি, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে কুলদীপকে। তারপর ধড় থেকে কেটে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে মাথা। কুলদীপের কাটা মুণ্ডুটি দেহ থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে পরেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্তকারি এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, কুলদীপের হাত উপড়ে নেওয়া হয়েছে। হাতটি মৃতদেহর ধারেকাছেই মিলেছে। কিন্তু মৃতদেহর শরীর থেকে উধাও হওয়া হৃৎপিন্ড ও গোপন অঙ্গের হদিশ এখনও মেলেনি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান কুলদীপকে খুন করতে ভারী পাথর ব্যবহার করেছে হত্যাকারী। কুলদীপের ছিন্নভিন্ন দেহটি জঙ্গলে ফেলা হয়েছে যাতে নরখাদক পশুর আক্রমণ বলে মনে হয়। খুনের পিছনে ডাকাতির উদ্দেশ্য উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। ফতেপুর বেরি থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে কুলদীপের বাইক ও অন্যান্য সমস্ত সামগ্রীই পাওয়া গিয়েছে। তাই এটি ডাকাতির ঘটনা হতে পারে না। এই খুনের পিছনে ত্রিকোণ প্রেমের কোনও গল্প আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে মৃতদেহটি দেখে পুলিশে খবর দেয়। কিন্তু মৃতদেহটি এত ভয়ঙ্কর অবস্থায় ছিল যে তা শণাক্ত করা কঠিন হয়ে পরেছিল। করে মৃতদেহের হাতে ট্যাটু দেখে তাঁকে শণাক্ত করা হয়। কুলদীপ নিজের নাম হাতে ট্যাটু করিয়েছিল।
কুলদীপের পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত ১০ নভেম্বরই ১৮ বছরে পা দেয় সে, এবং গুরগাঁওতে একটি বেসরকারি সংস্থায় যোগ দেয়। কুলদীপের বাবা জানান, বুধবার রাতে শেষবারের মতো ছেলের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। এর পর থেকেই কুলদীপের ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়।