নৃশংসতার নয়া দৃষ্টান্ত! গণধর্ষিতাকে আবারও ধর্ষণের হুমকি, পরিণামে যা ঘটল
গণধর্ষণের মতো নারকীয় অত্যাচারের যন্ত্রণা, ভয়াবহতার রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও একই অত্যাচারের হুমকি। হুমকির আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে না পেরে শেষে আত্মহত্যার পথকে বেছে নিতে বাধ্য হয় ওই ক্লাস ৮ এর ছাত্রী।
সবে নিজের বালিকা-বেলা কাটিয়ে উঠেছিল মেয়েটি। কৈশরের দিনযাপনের মধ্যেই তার সঙ্গে ঘটে গেল চরমতম পাশবিক অত্যাচারের ঘটনাটি। ১৫ বছর বয়সেই গণধর্ষণের মতো নারকীয় ঘটনায়র শিকার হতে হয় উত্তরপ্রদেশের বাঘপাট এলাকার এক ছাত্রী। কিন্তু শুধু গণধর্ষণ করেই তাকে রেহাই দেওয়া হয়নি। তারপরও তাকে আবার ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হতে থাকে ক্রমাগত।
গণধর্ষণের মতো নারকীয় অত্যাচারের যন্ত্রণা, ভয়াবহতার রেশ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও একই অত্যাচারের হুমকি। হুমকির আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে না পেরে শেষে আত্মহত্যার পথকে বেছে নিতে বাধ্য হয় ওই ক্লাস ৮ এর ছাত্রী। এই ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ৪ মাস আগে, ওই অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী পাড়ার দোকানে জিনিস কিনতে যায়। তারপর আর ফেরেনি সে। এরপরই পুলিশে অভিযোগ করেন ওই বালিকার অভিভাবকরা। অভিযোগ ওঠে অপহরণের। কিন্তু অভিভাবকদের অভিযোগ, ঘটনায় পুলিশ তদন্তই শুরু করতে চায়নি পুলিশ। এরপরই ৫ দিন পর, হঠাৎই পুলিশ স্টেশনের সামনে মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা।
এরপর তড়িঘড়ি মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, সে জানিয়ে দেয় কারা তাকে অপহরণ করেছিল ধর্ষকদের চিহ্নিত করতে পারে সে। কিন্তু পুলিশ এই বিষয়ে নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের ধরেও তখনের মতো ছেড়ে দেওয়া হয় ধর্ষকদের। তারপর থেকেই ওই নির্যাতিতাকে ক্রমাগত ধর্ষণের হুমকি দিতে থাকে অভিযুক্ত ধর্ষকরা। এই অসহ্য আতঙ্ক আর মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে শেষে নিজেকে শেষ করতে বাধ্য হয় ওই কিশোরী।