মুখ্যমন্ত্রিত্ব যেন বিষ পান! কেঁদেই ফেললেন কুমারস্বামী
সজল চোখে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বলেন, তাঁকে জনগণের সমর্থনহীন জোট সরকার চালাতে হচ্ছে। এতে তিনি খুশি নন।
দলের নেতা কর্মীরা তাঁকে সম্বর্ধনা দিতে চেয়েছিল। আর সেখানে এসেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী জানালেন 'এরকম' মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তাঁর একদম ভাল্লাগচ্ছে না। জনগনের রায় না পেয়েও তিনি জোট সরকার চালাচ্ছেন। তাঁর মনে হচ্ছে যেন বিষপান করছেন। চোখে জলও চলে আসে তাঁর।
শনিবার ওই অনুষ্ঠানে দলের নেতা-কর্মীদের দেওয়া ফুলের তোড়া, মালা কিছুই তিনি গ্রহণ করেননি। তিনি বলেন, তাদের 'আন্না বা থাম্মা' মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে ভেবে দলের কর্মীরা হয়ত আনন্দে আছে, কিন্তু তিনি রয়েছেন প্রবল যন্ত্রনায়। সেই যন্ত্রনা কারোর সঙ্গে ভাগও করে নিতে পারছেন না।
আসলে জোট রাজনীতির ফাসে বিধ্বস্ত তিনি। প্রত্যেক সিদ্ধান্তের জন্যই প্রথমে কংগ্রেস নেতাদের অনুমতি লাগছে, তারপর রয়েছে আমলাদের রাজি করানোর পালা। কিন্তু এসব জটিলতা সাধারণ মানুষ বুঝতে চাইবে কেন? তারা সব ক্ষেত্রে কুমারস্বামীকেই দুষছেন।
বর্ষায় কর্ণাটকের অনেক জায়গারই রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়েছে। এনিয়ে কোদাগুর একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। সঙ্গে লেখেন, জেলার রাস্তাঘাট ভেঙে গেলেও মুখ্যমন্ত্রীর কোনও তাপ উত্তাপ নেই। কুমারস্বামী আমার মুখ্যমন্ত্রী নয়। এরপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাঁর সমালোচনা করে কুমারস্বামী আমার মুখ্যমন্ত্রী নয় - প্রচারে সামিল হয়েছেন।
চারিদিকে এই সমালোচনার মুখে পড়ে ধ্বস্ত কুমারস্বামী। হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন সংখ্য়ায় লঘু হয়ে জোট সরকার চালানর জ্বালা। কৃষক ও জেলেদের ঋণ সকুব করা থেকে অন্ন ভাগ্য প্রকল্পে দেওয়া চালের পরিমাণ বাড়ানো - তার উপর চাপ আসছে বিভিন্ন বিষয়ে। কিন্তু, তার হাতে উপযুক্ত অর্থ নেই। তবে নাভিশ্বাস উঠে গেলেও এখনই মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়ার কোনও পরিকল্পনা তাঁর নেই। তিনি বলেছেন, 'ঈশ্বর আমায় মুখ্য়মন্ত্রী বানিয়েছেন, তিনিই ঠিক করবেন আমি কতদিন এই পদে থাকব।'