যিনি রাঁধেন তিনি চুলও বাঁধেন! যোগী রাজ্যের স্কুলে রাঁধুনিই যখন শিক্ষিকা
প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনুপস্থিত। পড়াশোনার সামাল দিচ্ছেন সেই স্কুলের রাঁধুনি। এমনটাই চিত্র উত্তর প্রদেশের হারদই জেলার মাধোগঞ্জ এলাকার প্রাথমিক স্কুলের।
প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনুপস্থিত। পড়াশোনার সামাল দিচ্ছেন সেই স্কুলের রাঁধুনি। এমনটাই চিত্র উত্তর প্রদেশের হারদই জেলার মাধোগঞ্জ এলাকার প্রাথমিক স্কুলের।
উত্তর প্রদেশের হারদই জেলার মাধোগঞ্জ এলাকার প্রাথমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বাড়ি থেকে এসে দেখে স্কুলে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক কিংবা শিক্ষাকর্মী কেউই নেই। পড়ুয়ারা বাড়ি ফিরে যায়। প্রায়ই এমন চিত্র ধরা পড়ে বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি এরই মধ্যে একদিন স্কুলের দুই রাঁধুনী চিমাবেদী ও তারাদেবী দরজা খুলে পড়ুয়াদের বসতে দেন। পরে পড়ানোও শুরু করেন তাঁরা।
বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে এসেছে। কোনও নোটিস ছাড়াই কেন শিক্ষকরা অনুপস্থিত প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানতে নোটিস জারি করা হয়েছে।
হারদই-এর বেসিক শিক্ষা অধিকারী হেমন্ত রাও বলেছেন, দফতরের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত যাঁরা দোষী প্রমাণিত হবে, তাঁদেরকে শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, মাধোগঞ্জের গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছেন, স্কুলের প্রধানশিক্ষক সুধীর কুমার এবং দুজন সহকারী শিক্ষক শিল্পী এবং জিতেন্দ্র-কেউই সময় মতো স্কুলে যান না। ফলে পড়ুয়াদের সেই ফল ভুগতে হচ্ছে।