রাজ্যের কোনও গার্লস স্কুলে পড়াতে পারবেন না ৫০ অনূর্ধ্ব শিক্ষকেরা
এরপর থেকে ৫০ বছরের কম বয়সী কোনও শিক্ষক মেয়েদের স্কুলে আর পড়াতে পারবেন না বলে জানান রাজস্থানের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রী গোবিন্দ সিং দোতাসরা। শুক্রবার আসন্ন উপনির্বাচনী উপলক্ষে রাজস্থানের ঝুনঝুনি থেকে তার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

বিগত কয়েক বছরে দেশ ও রাজ্য জুড়ে শিক্ষকের দ্বারা ছাত্রীদের হয়রানির অভিযোগ যে ভাবে ক্রমে বেড়ে চলেছিল তা নিয়ে সরকার স্বভাবিকভাবেই চিন্তিত বলে এদিন জানান তিনি। তাই রাজ্য জুড়ে নারী নির্যাতনের উপর সামগ্রিক রাশ টানতেই সরকারের এই 'দৃষ্টান্তমূলক’ সিদ্ধান্ত বলে জানান কংগ্রেসের এই মন্ত্রী। বর্তমানে রাজ্যের প্রায় সমস্ত গার্লস স্কুলে শুধুমাত্র শিক্ষিকাদেরই পড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে হলে শিক্ষকদেরও ডাকা হবে বলেও এদিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের জানান তিনি।
রাজ্য তথা দেশ জুড়ে যে ভাবে ক্রমেই নারী নির্যাতনের পরিমাণ বেড়ে চলেছে তখন রাজস্থান সরকারের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা মন্ত্রীর এই নজির বিহীন সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তার এই সিদ্ধান্তকে 'প্রতিক্রিয়াশীল’ ও 'অপরিণত’ বলে মনে করছেন সমাজের বিশিষ্ট মহলের একাংশ। ঝড় ওঠে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে মূল সমস্যার সমাধানের বদলে স্কুলের পঠনপাঠন ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন অনেক অভিভাবক। পাশাপাশি রাজস্থান সরকারের শিক্ষা সংসদের একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে রাজ্য জুড়ে মোট ১০১৯টি গার্লস স্কুল ও ৬৮৯১০টি কো-এড স্কুল রয়েছে। এই সমস্ত স্কুলগুলির জন্য আগামীতে সরকার কি ব্যবস্থা নেয় এখন সেটাই দেখার।
অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলায় একটি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও এক সহ-শিক্ষকের বিরুদ্ধে। প্রায় ৯ মাস আগে ঘটা ঘটনাটি বর্তমানে সামনে আসায় ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির যৌন অপরাধের হাত থেকে শিশু সুরক্ষা আইন বা পকসো আইন মোতাবেক ওই দুই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে ধানবাদের কাতরাস থানার পুলিশ।