টুকলি করার সন্দেহে ছাত্রীকে পোশাক খুলতে বাধ্য শিক্ষকের! অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা
পরীক্ষাতে টুকলি করছে! আর সেই সন্দেহে ছাত্রীকে পোশাক খোলার নির্দেশ। আর সেই অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা ছাত্রীর। ঘটনায় একেবারে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ঝা়ড
পরীক্ষাতে টুকলি করছে! আর সেই সন্দেহে ছাত্রীকে পোশাক খোলার নির্দেশ। আর সেই অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা ছাত্রীর। ঘটনায় একেবারে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ঝা়ড়খণ্ডের জামশেদপুরে। ঘটনায় রীতিমত নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
শিক্ষকের কীর্তিতে রীতিমত প্রশ্নের মুখে সে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা। যদিও ইতিমধ্যে ওই পরীক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এভাবে পোশাক খোলানোর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সে রাজ্যে। এমনকি স্কুলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
সেখানেও পুলিশ আধিকারিকরা গিয়ে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছেন বলে জানা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, স্কুলে নবম শ্রেণীর পরীক্ষা চলছিল। আর পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলের শিক্ষকের হঠাত মনে হয় স্কুলের একটি ছাত্রী টুকলি করছে। আর তা পোশাকের মধ্যে লুকানো আছে বলেও মনে করেন ওই প্রশিক্ষক। আর এরপরেই ওই ছাত্রীকে ডেকে পাঠান।
শুধু তাই নয়, ক্লাসরুমের পাশে একটি ঘরে ছাত্রীকে পোশাক খুলতে বলে ওই শিক্ষক। ঘটনায় একেবারে লজ্জিত বোধ করেন নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী। বাড়ি ফিরেই নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার করার চেষ্টা করে সে। কোনও রকমে বেঁচে যায় সে। কিন্ত্য অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। তবে ডাক্তাররা সররকম ভাবে ওই ছাত্রীকে সুস্থ করার চেষ্টা করছেন বলেই জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে হেনস্থা করতেই এই কাজ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অপমানেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা তাঁদের মেয়ে করে বলেও দাবি ওই নবম শ্রেণীর ছাত্রীর মা। ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থাতেই ওই ছাত্রী পুলিশকে বয়ান দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তাতে সে জানিয়েছে, বারবার ওই শিক্ষককে সে জানিয়েছিল যে তাঁর কাছে কোনও টুকলি নেই। এমনকি পড়াশুনা করেই সে পরীক্ষা দিচ্ছে বলেও জানিয়েছিল বলে দাবি। কিন্ত্য কোনও কোথায় নাকি ওই শিক্ষক শুনতে রাজি হয়নি বলে দাবি ওই যুবতীর। কার্যত জোর করেও পোশাক নাকি তাঁকে খুলতে বাধ্য করা হয় বলেও জানিয়েছে সে।
আর এরপরেই তীব্র চাঞ্চল্য এবং ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে। ক্ষুব্ধ স্কুলের অন্যান্য অভিভাবকরাও।