আস্থা ভোটের আগেই বিরোধী শিবিরে ফাটল, অভিমানী অনাস্থার নোটিশ দেওয়া চন্দ্রবাবুর দলেরই এই সাংসদ
টিডিপি সাংসদ জে.সি. দিবাকর রেড্ডি আগামীকালের আস্থা ভোটে নাও উপস্থিত থাকতে পারেন।
শুক্রবার লোকসভায় হতে চলা আস্থা ভোট নিয়ে অনেক রাজনৈতিক লাভের আশা করছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। কিন্তু সেই আশায় প্রথমেই জল ঢালতে শুরু করলেন খোদ টিডিপিরই এক সাংসদ। জেসি দিবাকর রেড্ডি জানিয়ে দিয়েছেন তিনি শুক্রবার সংসদে যাবেন না। অথচ লটারিতে চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপিই সংসদে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সুযোগ পেয়েছে।
দিবাকর রেড্ডি জানিয়েছেন ভারতের রাজনীতি নিয়েই নাকি তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন। মোদী সরকার নিয়ে হতাশ, অন্ধ্রের চন্দ্রবাবু নাইডু সরকার নিয়েও তিনি হতাশ। কেন তিনি এত হতাশ? তিনি জানিয়েছেন ১ সপ্তাহ পড়ে বলবেন। আপাতত তিনি তাঁর গ্রামের বাড়ি অনন্তপুরে আছেন এবং আগামী ক'টা দিন সেখানেই থাকবেন।
তাঁর কথায় বেশ অভিমানও ধরা পড়েছে। তিনি বলেছেন, এই অনাস্থা ভোট প্রতীকি। এতে মোদী সরকার পড়ে যাবে না। তাই তাঁর ভোটের কোনও মূল্য নেই। তাছাড়া তিনি ইংরেজী বা হিন্দীতেও সড়গড় নন। তাই তিনি থাকলেন না থাকলেন না, তাতে কারোর কিছু যায় আসে না। বরং অনেক নেতা আছেন যারা ইংরেজী বলতে পারেন, তারাই লোকসভায় থাকুন।
টিডিপি দলের সূত্রে খবর, তিনি সত্যিই অভিমান করেছেন। কারণ অনাস্থার নোটিশ দেওয়ার আগে তাঁকে দলের কেউ কিছু জানায়নি। তাঁর সঙ্গে কোনও কিছু আলোচনাও করেনি।
এই নেতাটিকে নিয়ে অবশ্য টিডিপি দলকে মাঝে মধ্যেই বিব্রত হতে হয়। ২০১৪ সালের আগে তিনি কংগ্রেস ছিলেন। দিন কয়েক আগে তিনি বলে বসেন সেসময়ে তিনি সোনিয়া গান্ধীকে বলেছিলেন রাহুল গান্ধীর সঙ্গে এক ব্রাহ্মণ কন্যার বিয়ে দিতে। সোনিয়া সেকথা শুনলে এতদিনে রাহুল প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতেন। বিমানে খারাপ আচরণ করার জন্য একবার তাঁর উড়ান নিষিদ্ধও হয়েছিল।