যক্ষা রোগের পুরনো টিকাই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে, দাবি গবেষকদের
যক্ষা রোগের পুরনো টিকাই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে, দাবি গবেষকদের
করোনা ভাইরাসের কোনও ওষুধ বা প্রতিষেধক এখনও বের হয়নি বিশ্বে, তবে চলছে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা–নিরীক্ষা। এরই মাঝে যক্ষ্মা প্রতিরোধের জন্য ব্যবহৃত এক শতাব্দী প্রাচীন প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে মেলবোর্নের স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের হাতে, যদি এটি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে।
বিসিজি অন্য রোগের ক্ষেত্রেও কার্যকর
ব্যাসিলাস ক্যালমেট-গুউরিন বা বিসিজি যথেষ্ট জনপ্রিয় মেডিক্যাল দুনিয়ায়। এই প্রতিষেধক শুধুমাত্র যক্ষা থেকে রক্ষা করে তা নয়, অন্য রোগ থেকেও মুক্তি দেয়। ব্লুমবার্গের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, বিসিজির প্রাথমিক স্তর মূত্রাশয় ক্যান্সারে ইমিউনোথেরাপির ওষুধ হিসাবে কাজ করে এবং সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে মানব দেহকে প্রশিক্ষণ দেয়। এমনকী কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ থেকে এই বিসিজি মানুষকে দূরে রাখতে পারে কিনা সে বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) পক্ষ থেকে গোটা বিশ্বের গবেষকদের গবেষণা করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে এবং এই গবেষণা পরিচালনা করবে মেলবোর্ন গ্রুপ।
রোগ প্রতিরোধ বাড়ায় বিসিজি
নিউ ইয়র্ক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি কলেজ অফ অস্টিওপ্যাথিক মেডিসিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পৃথিবীর যে সব দেশে বিসিজি টিকাদান কর্মসূচি নেই যেমন ইতালি, নেদারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে দীর্ঘস্থায়ী টিকাদান কর্মসূচি যে সব দেশে চালু আছে ওইসব দেশের মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কম। মেলবোর্ন স্টাডি পরিচালনাকারী নাইজেল কার্টিস, যিনি ইনফেকসিয়াস ডিজিসের প্রধান, তিনি জানিয়েছেন যে এই বিসিজি ড্রাগ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে ও আরও সাধারণ উপায়ে যে কোনও সংক্রমণ, ভাইরাস ও জীবাণুকে এটি প্রতিরোধ করতে পারে।
পুরনো টিকার নতুনভাবে ব্যবহার
অস্ট্রেলিয়ার মারডক চিলড্রেনস রিসার্চ ইনিস্টিটিউট (এমসিআরআই) জানিয়েছে, সোমবার পরীক্ষামূলকভাবে অস্ট্রেলিয়ার হাসপাতালগুলির চার হাজার কর্মী এই টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নেন। ধারণা করা হচ্ছে আগামী ছয় মাসের মধ্যে এর ফলাফল হাতে পাওয়া যাবে। নাইজেল কার্টিস বলেন, ‘অত্যন্ত পুরোনো একটি টিকাকে নতুন একটি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা মহৎ ও উত্তেজনাপূর্ণ এবং প্রথমবারের মতো এভাবে টিকাটি ব্যবহার করা হচ্ছে।'