For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

তামাম বাঙালি জাতির কাছে এক বিশাল সঙ্কট, জাতিয়তাবাদে গর্জে ওঠার আহ্বান তপোধীরের

বাঙালি বরাবরই চক্রান্তের শিকার। যখনই তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছে তখনই কোনও না কোনও ভাবে তাঁদের ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ রাজত্বে এই কাজ ইংরাজরা সুপরিকল্পিতভাবে করে এসেছে।

Google Oneindia Bengali News

বাঙালি বরাবরই চক্রান্তের শিকার। যখনই তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করেছে তখনই কোনও না কোনও ভাবে তাঁদের ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ রাজত্বে এই কাজ ইংরাজরা সুপরিকল্পিতভাবে করে এসেছে। কিন্তু তারপরেও বাঙালিদের মধ্যে হিন্দু-মুসলমানে ভেদাভেদকে বেশি গভীরে নিয়ে যেতে পারেনি ব্রিটিশরা।

বাঙালির জাতিসত্তাকে কি ভাঙার চক্রান্ত চলছে

সিপাহী বিদ্রোহের সময় হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে যে হিংসার বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা হয়েছিল তা বাংলার বুকে সফল হয়নি। এমনকী স্বাধীনতার মাত্র বছরখানেক আগে কলকাতা শহরের বুকে দাঙ্গা, নোয়াখালি দাঙ্গাতেও বাঙালি হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সুসম্পর্ক-কে এক্কেবারে নির্মূল করা যায়নি। দেশভাগেও নানাভাবে বাঙালি হিন্দু ও মুসলিমদের ব্রেনওয়াশ করার চেষ্টা হয়েছে, তাতেও এই দুই ভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বিভেদের রেখাটাকে স্থায়ী করা যায়নি। বাংলা ও বাঙালি জাতির গরিমা রক্ষায় বরাবরই হিন্দু ও মুসলিম গর্জে উঠেছে।

অসমে এনআরসি-র নাম করে যেভাবে ফের একবার বাঙালি হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ তৈরির চেষ্টা চলছে তার বিরুদ্ধে গণপ্রতিবাদই সেরা পথ বলে মনে করছে অসম নাগরিক রক্ষা সমন্বয় সমিতি। এই মঞ্চের প্রধান তপোধীর ভট্টাচার্যের মতে, এনআরসি-তে নাম না থাকা নিয়ে যা চলছে তা হিন্দু বা মুসলিম নয় বাঙালির জাতি গরিমাতেই আঘাত। তাই নিজেদের জাতিসত্ত্বা রক্ষার জন্য সকল বাঙালিকে একযোগে গর্জে ওঠারও আহ্বান জানিয়েছেন তপোধীর।

বাঙালির জাতিসত্তাকে কি ভাঙার চক্রান্ত চলছে

ভাষার ভিত্তিতে জাতির গরিমা রক্ষা কথা সংবিধানেই বলা হয়েছে। তাহলে নিজেদের মাতৃভাষার উপরে আঘাতকে কেন মেনে নেবে বাঙালিরা। এমন প্রশ্নও তুলেছে অসম নাগরিক রক্ষা সমন্বয় সমিতি। অসমের মধ্যে ঢুকে রয়েছে বিশাল বাঙালি অধ্যুষিত এলাকা। এই এলাকার মাতৃভাষা বাংলা। কিন্তু, এককালে এই অঞ্চলের বাঙালির জাতি গরিমাকেই বুলডোজ করার চেষ্টা হয়েছিল। অসমিয়া ভাষাকে প্রধানভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। অসমের বাঙালিদের উপরে বলপূর্বক এই নীতির বিরোধিতায় আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু, সেই আন্দোলন ছিল মানুষের স্বর্তস্ফূর্ত গণআন্দোলন। তা বলে কোনও বাঙালি সরকারের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করেনি বা রাষ্ট্রের মর্যাদাহানি হয় এমন কাজও করেনি বাঙালিরা। বাংলা ভাষা সংবিধানে স্বাধীনভাবে স্বীকৃত। বাঙালি অধ্যুষিত বরাক উপত্যকা অসমকে খণ্ডিত করে ভিন রাজ্য তৈরির জন্য আন্দোলনে নামেনি। তাহলে, দেশপ্রেমিক বাঙালিদের উপরে কেন বারবার আঘাত নেমে আসবে? এখন অসমজুড়ে এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।

দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালিদের আত্মবলিদান ও অবদান নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ইংরেজদের দখলদারি নীতির বিরুদ্ধে প্রথম যে প্রতিবাদের আওয়াজ উঠেছিল সেটা ছিল অবিভক্ত বাংলা। আর সেই আওয়াজ তুলেছিলেন এক মুসলিম নবাব। মুর্শিদাবাদের নবাব সিরাজউদৌল্লা। কিন্তু মীরজাফরের জন্য বাঙালিদের সেই দেশকে পরাধীনতার হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। বাঙালি জাতি যেমন ভারতের বুকে কায়েমি স্বার্থকে প্রতিহত করতে আত্মবলিদান দিয়েছে, তেমনি এই জাতির গরিমায় কলঙ্ক হয়ে থেকে গিয়েছে মীরজাফর। বর্তমানে বাঙালি সমাজে এমন বহু মীরজাফর রয়েছেন, কিন্তু তাদেরকে বাদ দিয়েই বাঙালি জাতীয়বাদে সমগ্র বাঙালি জাতিকে বাঁধতে চাইছে বরাক। যেখানে কোনও হিন্দু ও মুসলিমদের ভেদাভেদ থাকবে না। এখন আপামর বাঙালিরা এই আহ্বান শুনতে পেলে হয়।

English summary
The way in which disagreements are made between the Bengalis in the name of NRC is nasty and condemnable. It said by Tapodi Bhattacharya.
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X