তামিলনাড়ুতে প্রবল বর্ষণের জেরে ২০ জেলায় জারি রেড অ্যালার্ট ! দুর্যোগ নিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস কী বলছে
প্রায় ৬ বছর বাদে নভেম্বরের তামিলনাড়ু টানা বর্ষণে ভিজছে। ইতিমধ্যেই সেরাজ্যে প্রবল বর্ষণের জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। মনে করা হচ্ছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বর্ষণের পরিমাণ আরও বেড়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই লাল সতর্কতা তামিলনাড়ুর ২০ টি জেলায় জারি করা হয়েছে। ৯ টি জেলায় বন্ধ রয়েছে স্কুল। ৬ টি জেলায় প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে বন্যা নিয়ে।
প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস
এদিকে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে তামিলনাড়ু জুড়ে। সেই সতর্কবার্তা জানান দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উল্লেখ্য, ছড়িয়ে ছিটিয়ে বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। কোনও একটি জায়গায় প্রবল বর্ষণ হবে বলে মনে করছে না আবহাওয়া দফতর। তামিলনাড়ু জুড়ে বিস্তীর্ণ জায়গায় প্রবল বর্ষণ হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে ৯ টি জেলায় একাধিক স্কুল বন্ধ রয়েছে। কাঞ্চিপুরম, কুড্ডালোর, চেঙ্গালপেটের মতো বহু এলাকায় পরিস্থিতি বেশ আশঙ্কাজনক। সেই জায়গা থেকে এই সমস্ত জায়গায় বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল।
প্রবল বর্ষণের ত্রাস
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, বৃহস্পতিবারও তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জায়গায় প্রবল বর্ষণ হতে চলেছে। এদিকে, গতকাল রাত ৮ টা থেকে প্রবল পরিমাণে বর্ষণ আরম্ভ হয়েছে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন জায়গায়। জানা গিয়েছে বঙ্গোপসাগরে প্রবল নিম্নচাপের জেরে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এদিকে, এমন বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে বহু জায়গায় জল দাঁড়াতে শুরু করে দিয়েছে। ব্যাহত হয়ছে বিমান পরিষেবা। গত কয়েকদিনে তামিলনাড়ুতে প্রবল বর্ষণ হয়েছে। যার জেরে ৫ জন ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। ৫৩০ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। তামিলনাড়ুর পরিস্থিতির জেেরে ১৭০০ জনকে ত্রাণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে।
দুর্যোগের গতিপথ!
আবহাওয়ার যে সিস্টেম তৈরি হয়েছে তাতে তামিলনাড়ু ও তার সংলগ্ন অন্ধ্রপ্রদেশে তার প্রভাব পড়বে। সিস্টেম আপাতত কারাইকল বা শ্রীহরিকোটায় প্রভাব ফেলবে। এদিকে পুদুচেরিতে এই প্রবল বর্ষণের জেরে দুর্যোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। চেন্নাই থেকে আপাতত এই নিম্নচাপ ৪৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। পুদুটচেরি থেকে তার দূরত্ব ৪২০ কিলোমিটার।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা
এদিকে তামিলনাড়ুতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একাধিক এলাকা। চেন্নাইতে রয়েছে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা। মহানগর চেন্নাইতে প্রবল বর্ষণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। চেঙ্গেলপেট, থিরুভাল্লুর, কাঞ্চিপূরম, ভিল্লুপুরম ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল বর্ষণে এলাকা জলমগ্ন রয়েছে। এই জায়গা থেকে ফের একবার এই শহর কবে ছন্দে ফিরবে তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা।