আশা-অপেক্ষায় বুক বেঁধেছে শ্রীলঙ্কার শরণার্থী তামিলরাও
১৯৯০ সাল থেকেই ভারতে বসবাস করছে তারা। কিন্তু এখনও ভারতের নাগরিকত্ব মেলেনি। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে মাত্র তিনটি দেশের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে।
১৯৯০ সাল থেকেই ভারতে বসবাস করছে তারা। কিন্তু এখনও ভারতের নাগরিকত্ব মেলেনি। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে মাত্র তিনটি দেশের শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়েছে। িকন্তু শ্রীলঙ্কার তামিল হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের কথা বলা হয়নি। তাতেই বিক্ষুব্ধ তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দলগুলিও। লোকসভায় এই নিয়ে সওয়ালও করেছেন তাঁরা। এই দাবিতে এবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।
শ্রীলঙ্কার তামিল শরণার্থী
১৯৯০ সালে শ্রীলঙ্কার এলটিটিই-র সময় থেকেই হাজার হাজার শরণার্থী এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন ভারতে। তামিলনাড়ুতে প্রায় ১০৭টি শরণার্থী শিবির রয়েছে। সেখানে ৬৫০০০ শ্রীলঙ্কার তামিল হিন্দু শরণার্থী রয়েছে। তাঁদের অনেকেই শৈশব থেকেই রয়েছেন এখানে। এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই শ্রমিক নয়তো বেসরকারি সংস্থায় কাজ। শরণার্থী শিবিরের স্কুলেই পড়াশোনা করে এই ক্যাম্পের শিশুরা। অনেকেই ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছেন এই শিবিরে।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ
ভারতের নাগরিকত্ব চেয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দারা। প্রায় ৬৫ জন তামিল হিন্দু শরণার্থী মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চে আবেদন জানায়। আদালত শরণার্থীদের নতুন করে সেই আবেদন পত্র জেলা শাসকের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
নাগরিকত্বের আশায়
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পর এই শরণার্থী তামিলরাও নতুন কর আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন। মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর তাঁরা নাগরিকত্ব প্রাপ্তির আশা দেখছে। কারণ নাগরিকত্ব না পাওয়ার কারণে ভাল কাজ পাচ্ছেন না তাঁরা। এমনকী ভাল কোনও স্কুলে ছেলেমেয়েদের পড়াতেও পারছেন না।
দেশভাগের প্রবর্তক হিন্দু মহাসভা! ইতিহাস লিখুন কিন্তু বিকৃত করবেন না, তোপ কংগ্রেসের