আজ ফের পোঙ্গল থুলাসেন্দ্রপুরমে, কমলা হ্যারিসের শপথের আগেই শুরু ২০২৪-এর প্রার্থনা
চেন্নাইয়ের অদূরেই অবস্থিত ছোট্ট একটি গ্রাম থুলাসেন্দ্রপুরম। কয়েকদিন আগেও যেই গ্রামের নাম জানা ছিল না বহু ভারতীয়রই, এখন সেই গ্রামকে চিনেছে গোটা বিশ্ব। পোঙ্গলের আবহে সেই গ্রামে ক্ষেতে দাঁড়িয়ে থাকা সোনালী ধানের সারিতে যেন খুশির হাওয়া লেগেছে। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নিজের স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম লিখিয়ে ফেলা কমলা হ্যারিসের নাড়ির যোগ রয়েছে এই গ্রামের সঙ্গে।

আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম
কমলা হ্যারিস৷ ৫৬ বছরের মহিলা৷ ক্যালিফোর্নিয়ার সেনেটর৷ তাছাড়া প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মহিলা হিসেবে গতবছরের নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আমেরিকার ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বসতে চলেছেন।

ভানাক্কম আমেরিকা
ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে চলা কমলা হ্যারিসকে শুভেচ্ছা জানালেন তামিলনাড়ুর থুলাসেন্দ্রাপুরমের বাসিন্দারা। রঙিন আলপনা এঁকে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান তাঁরা। কমলা হ্যারিসকে নিয়ে প্রথম থেকে উচ্ছ্বাস ছিল ওই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে। তাঁর জয় চেয়ে পুজোও দিয়েছিলেন তাঁরা। কমলার ছবি দিয়ে পোস্টারও টাঙানো হয় গ্রামে। রঙিন আলপনায় লেখা হয়, 'শুভেচ্ছা কমলা হ্যারিস। আমাদের গর্ব অনুভব হচ্ছে। ভানাক্কম আমেরিকা।'

২০২৪-এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন কমলা!
ট্রাম্প ও বাইডেনের যা বয়স, তাতে থুলাসেন্দ্রাপুরমের বাসিন্দাদের আশা, ২০২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভাবা মার্কিন জনগণ বেছে নেবেন কমলাকে৷ তবে থুলাসেন্দ্রাপুরমের বাসিন্দাদের দাবি, যদি আগামী ৪ বছর কমলা ভারতকে সমর্থন জানানো বিষয়ে সামনের সারিতে থাকেন, তাহলেই তিনি মার্কিন রাষ্ট্রপতি হতে পারবেন।

মার্কিন নির্বাচনে কমলা ফ্যাক্টর
প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাস তৈরি করতে চলেছেন। ডেমোক্র্যাটরা আশা করেছিলেন প্রার্থী হিসেবে তাঁর এই ঐতিহাসিক বিষয়টি আফ্রিকান আমেরিকান ও তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করবে। যা কাজে লাগবে, যেহেতু এই ভোটাররাই বাইডেনের প্রতি খানিক অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। এবং সেই ভোট সমীকরণকে কাজে লাগিয়েই বাইডেন পৌঁছাতে চলেছেন হোয়াইট হাউজে।

কমলার 'মাদার ইন্ডিয়া' মনোভাব
হ্যারিসের মায়ের নাম শ্যামলা গোপালন৷ তিনি মাত্র ১৯ বছর বয়সে বার্কলেতে আসেন৷ তখন নাগরিক অধিকার নিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলন চলছে৷ সেখানেই তাঁর সঙ্গে ডোনাল্ড হ্যারিসের সাক্ষাৎ হয়। ডোনাল্ড জামাইকা থেকে আসা অর্থনীতির একজন ছাত্র ছিলেন সেই সময়৷ তাঁরা বিয়ে করেন৷ তাঁদের দু'টি মেয়ে কমলা ও মায়া। হ্যারিস প্রতিবারই তাঁর প্রকাশ্যে আসার সময় নিজের মধ্যে 'মাদার ইন্ডিয়া' মনোভাব বজায় রেখেছেন।
