টিকা অপচয়ের জেরেই কি করোনাকালে সঙ্কটে দেশ? তালিকার শীর্ষে কোন রাজ্য
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা টিকার আকাল দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছে। মুম্বইতে শুক্রবারই বন্ধ হয়ে গিয়েছে ২৬টি টিকাকরণ সেন্টার। এরই মাঝে সামনে এল টিকা অপচয় সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য। উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যতম দ্রুত টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে দেশে। এই আবহে এদিন একটি কিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে যাতে দেখা যায় যে কোন রাজ্যে কতটা টিকা অপচয় হয়েছে।
তালিকার শীর্ষে তামিলনাড়ু
প্রকাশিত রিপোর্ট মারফত জানা গিয়েছে, টিকা অপচয়ের শতকরা হারের নিরিখে শীর্ষে রয়েছএ তামিলনাড়ু। জানা গিয়েছে সেরাজ্যে ১২.৪ শতাংশ টিকা অপচয় হচ্ছে। এরপরেই এই তালিকায় রয়েছে হরিয়ানা। সেই রাজ্যে টিকা অপচয়ের হার ১০ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে বিহার। সেখানে অপচয়ের হার ৮.১ শতাংশ।
পশ্চিমবঙ্গে কোনও টিকা অপচয় হয়নি
এরপর তালিকায় একে একে রয়েছে দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, পঞ্জাব, অসম, মণিপুর। দিল্লিতে ৭ শতাংশ, অন্ধ্রপ্রদেশে ৭.৩, পাঞ্জাবে ৮ শতাংশ, অসমে ৭.৩ শতাংশ এবং মণিপুরে ৭.২ শতাংশ টিকা অপচয় হয়। এদিকে গোয়া, লাক্ষাদ্বীপ, কেরল, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং পশ্চিমবঙ্গে টিকা অপচয়ের পরিমাণ শূন্য।
মহারাষ্ট্রে বন্ধ হচ্ছে টিকাকরণ সেন্টার
এদিকে মহারাষ্ট্র সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৬টি টিকাকরণ কেন্দ্রের মধ্যে ২৩টিই নবি মুম্বইয়ের৷ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের সঙ্গে কথা বলেছেন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার৷ মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট সেন্টারগুলিতে টিকাকরণের কাজ ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ ফলে সাতারা, সাংলি, পানভেলের মতো জায়গাগুলিতে আপাতত করোনার টিকাকরণ বন্ধ৷ পাশাপাশি পুণেতেও ১০০টির বেশি টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে হয়েছে একই কারণে৷ এনিয়ে টুইটও করেছেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে৷
তোপ দেগেছে কেন্দ্র
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মহারাষ্ট্র টিকার অভাব নিয়ে সঠিক তথ্য দিচ্ছে না৷ উপরন্তু, মহারাষ্ট্রে করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি৷ এমনকী, এর ফলে গোটা দেশের প্রচেষ্টা ব্য়াহত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন হর্ষ বর্ধন৷