আস্থা ভোটে জিতলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পলানিস্বামী, পেলেন ১২২ ভোট, ওয়াকআউট কংগ্রেস-ডিএমকের
ই পলানিস্বামীকে সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়ে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল সিকে বিদ্যাসাগর রাও। আজ, শনিবার নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলেন।
চেন্নাই, ১৮ ফেব্রুয়ারি : শশীকলা নটরাজনের বেছে নেওয়া মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে ই পলানিস্বামীকে সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়ে শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল সিকে বিদ্যাসাগর রাও। আজ, শনিবার এআইএডিএমকে বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিজেকে প্রমাণের পালা ছিল পলানিস্বামীর। সেইমতো আস্থাভোটে ১২২টি ভোট পেয়ে জিতে গেলেন তিনি। বিধানসভায় বিক্ষোভের পরে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস ও ডিএমকে বিধায়করা। [আস্থাভোটের আগে টানটান উত্তেজনা তামিলনাড়ুতে, জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ ১০টি তথ্য ]
শনিবার তামিলনাড়ু বিধানসভায় আস্থাভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছিল। সেই উপলক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য পলানির প্রয়োজন ছিল ১১৮টি ভোট। ২৩৫ বিধানসভা আসন বিশিষ্ট তামিলনাড়ুতে এআইএডিএমকে ১৩৬টি আসন পেয়েছিল। জয়ললিতা প্রয়াত হওয়ার পর একটি ফাঁকা রয়েছে।
এদিকে বাকী আসনগুলির মধ্যে ডিএমকে ৮৯টি, কংগ্রেস ৮টি, আইইউএমএল-এর ১টি করে আসন রয়েছে। ডিএমকে নিজেদের সব বিধায়ককে নির্দেশ দিয়েছিল পলানিস্বামী সরকারের বিরুদ্ধে ভোট করার। শুধুমাত্র এমকে করুণানিধি শনিবার শারীরিক কারণে বিধানসভায় ভোটদানের সময়ে উপস্থিত থাকতে পারবেন না বলে জানা গিয়েছিল। এদিকে কংগ্রেসও ডিএমকে-র পথেই হেঁটে ভোট বয়কট করে।
তবে শুধু ডিএমকে-ই নয়, ও পন্নিরসেলবম গোষ্ঠীও সরাসরি পলানিস্বামীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামে। তাদের সঙ্গে মোট ৪০ জন বিধায়ক রয়েছে বলে আস্থাভোটের তাঁর লড়াই বাতিল হয়ে যায়। এদিকে পলানিস্বামীর পাশে কতজন এআইএডিএমকে বিধায়ক রয়েছেন সেটা এদিন প্রমাণ হওয়ার ছিল। দেখা গেল প্রয়োজনীয় ১১৮টি ভোটের চেয়ে ৪টি বেশি পেয়ে গিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, তিন দশক আগে এআইএডিএমকে প্রতিষ্ঠাতা এমজি রামচন্দ্রণের মৃত্যুর পরও এভাবেই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল এআইএডিএমকে দলে। সেবারও এভাবেই আস্থাভোট হয়েছিল তামিলনাড়ু বিধানসভায়। ক্ষমতায় এসেছিলেন এমজিআরের স্ত্রী জানকী রামচন্দ্রণ। এবারও সেরকমই হল। শেষ হাসি হাসলেন সেই এআইএডিএমকের পলানিস্বামীই।