দিল্লি নির্বাচনে আপের কাছে বিজেপির এত বড় ধাক্কার কারণ গুলি জানেন? দেখে নিন একনজরে
দিল্লি নির্বাচনে আপের কাছে বিজেপির এত বড় ধাক্কার কারণ গুলি একনজরে দেখে নিন
আম
আদমি
পার্টির
ঝাড়ু
ঝড়ে
দিল্লিতে
কার্যত
কোণঠাসা
বিজেপি।
এবারের
বিধানসভা
ভোটের
ফলাফল
প্রকাশ
হতেই
দেখা
গেল
কার্যত
দাঁতই
ফোটাতে
পারেনি
বিএসপি,
কংগ্রেসের
প্রথম
একদা
দিল্লির
রাজনীতিতে
প্রাসঙ্গিক
জাতীয়
ও
আঞ্চলিক
দল
গুলিও।
এদিকে
এই
হারের
পর
একাধিক
প্রশ্ন
উঠতে
শুরু
করেছে
বিজেপির
অন্দরমহলেই।
শুরু
হয়েছে
হারের
অন্তর্তদন্ত।
প্রথমদিকে
লড়াইয়ে
থাকলেও
বেলা
যত
গড়িয়েছে
ক্রমশ
থমকেছে
বিজেপির
জয়রথ।
শেষপর্যন্ত
তাদের
হাতে
দিল্লির
মাত্র
৭টি
আসন।
অথচ
কিছুদিন
আগে
রাজধানীর
সাতটি
লোকসভা
আসনই
জিতেছিল
তারা।
তাহলে
কেন
এমন
পরিস্থিতি?
আসুন
এক
নজরে
দেখে
জেনে
কয়েকটি
গুরুত্বপূর্ণ
কারণ
গুলি।
কাজে দিল না মোদী-অমিত শাহ ফর্মুলা
শেষ পর্যন্ত কাজে দিল না ২০১৪ থেকে চলে আসা মোদী-অমিত শাহ ফর্মুলা। অথছ এই ফর্মুলার হাত ধরেই ২০১৪ ও ২০১৯ পরবর্তী সময়ে তরতর করে এগিয়েছে বিজেপির বিজয় রথের চাকা। কিন্তু গত বছরের শেষ দিকে ও চলতি বছরের শুরুতে নয়া নাগরিকত্ব আইনের প্রবর্তন, জেএনইউয়ে ছাত্র আন্দোলন, হিন্দু মুসলিম বিভাজনের রাস্তায় বিজেপির প্রচারের কারণে অবশেষে থমকাতে বাধ্য হল বিজেপির বিজয় রথের চাকা।
ব্যর্থ গুরাট মডেলও
২০১৮ সালের পর কার্যত গুজরাট মডেলকে লক্ষ্য করেই দেশ জুড়ে প্রচার চালিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে তারপর থেকে ‘রাষ্ট্রনেতার' আদলে মোদীকে কার্যত মহামানব করে ছেড়েছে বিজেপি। যার কুপ্রভাব গিয়ে পড়েছে ব্যালট বক্সেও। কম অপরাধ, উচ্চ বিনিয়োগ, উন্নত রাস্তা, পরিষ্কার নদী, সমৃদ্ধ কৃষিকাকে রাজনীতির হাতিয়ার করলেও কেজরীওয়ালের ‘জল-বিজলি' প্রচারের কাছে কার্যত মুখ তুবড়ে পড়েছে বিজেপি।
ব্যর্থ মনোজ তিওয়ারিও
দিল্লিতে বর্ণ, ধর্মের ভিত্তিতে ভোট ভাগাভাগি হয়নি বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বরং উন্নয়নের নিরিখেই ভোট হয়েছে। তাই দিল্লির বিজেপি ইউনিটের প্রধান মনোজ তেওয়ারির প্রচারের লাই কাজে আসেনি বলে মনে করছেন অনেকেই।
একই সাথে দিল্লির মুস্তফাবাদ, মাটিয়ামহল ও সিলামপুরের মতো মুসলমান-অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় ৬৫ থেকে ৬৬ শতাংশ করে ভোট পড়েছে। এর মানে দাঁড়ায়, সংখ্যালঘু ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে বেশি আগ্রহী ছিলেন। পাশাপাশি দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বতেও জেরবার হতে দেখা যায় বিজেপিকে। এবার মনোজ তিওয়ারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন বিজয় গোয়েলে এবং বিজেন্দর গুপ্তার শিবিরও। কারণ সবাই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন।
ফ্যাক্টর যখন কংগ্রেস
দিল্লি বিধানসভায় এবার কংগ্রেস কার্যত কোনওরকম দাঁতই ফোটাতে পারেনি বলে দেখা যাচ্ছে। তবুও ভোট পূর্ববর্তী সময়ে কংগ্রেসকে নিয়ে বিজেপি অত্যধিক চিন্তুা এবং ক্রমাগত কংগ্রেস নেতাদের উদ্দেশ্য করে বিজেপি নেতাদের অশালীন মন্তব্য ভালোভাবে নেয়নি সাধারণ মানুষ। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
এদিকে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পড়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ। আগের নির্বাচনের থেকে যা প্রায় ৫ শতাংশ কম। তাই একথা বলাই যায় বিজেপির বিরূপ প্রচারের ফলে অনেকে ভোটরাই বুথ মুখী হয়নি আবার যারা ভোট দিতে এসেছেন তারা ফিরেও তাকানি বিজেপির দিকে।