বলির পাঁঠা বানানো হয়েছে তবলিঘি জামাত সদস্যদের! মামলা খারিজ করে বলল বম্বে হাইকোর্টের
দিল্লির নিজামউদ্দিন মারকাজের সভায় যোগ দিয়েছিল তবলিঘি জামাতের বহু বিদেশি সদস্য। এরপরই তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার মামলা। সেই মামলাটি এবার খারিজ করে দিল বম্বে হাইকোর্ট। এদিন হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মোট ২৯ জন জামাত সদস্যের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা খারিজ করে দেয়।
তবলিঘি জামাতের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ
তবলিঘি জামাতের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিয়েছিল যে জামাতের ২ হাজার ৫৫০ জন বিদেশি সদস্যকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কালো তালিকায় থাকা জামাত সদস্যরা আগামী ১০ বছরের জন্য ভারতে ঢুকতে পারবেন না।
কী বললেন বিচারপতি?
এদিন বিচারপতি টিভি তালাওয়াড়ে এবং বিচারপতি এমজি সেউলিকরের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, 'যখনই কোনো বিপর্যয় হয়, বা কোনো মহামারি আসে, সরকার একটা বলির পাঁঠা খোঁজে। আর এ ক্ষেত্রে মনে হচ্ছে, এই বিদেশিদেরই বলির পাঁঠা করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।'
করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ তবলিঘি
মোদী সরকারের শুরু থেকেই অভিযোগ, দেশে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের অন্যতম কারণ তবলিঘি জামাতের ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এমনকি কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে জামাত সদস্যদের বিরুদ্ধে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছে ধর্মীয় সংগঠনটি।
দিল্লি পুলিশের বক্তব্য
এর আগে নিজামউদ্দিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বিদেশিদের মনে ভয় জন্মায়, যে তাদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা বা সরাসরি খুনের মামলা রুজু হতে পারে। তবে তাদের স্বস্তি দিয়ে দিল্লি পুলিশ জানিয়ে দিল যে কোনও বিদেশির বিরুদ্ধেই সেরম কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। তবে ভিসার নিয়ম উলঙ্ঘন ও করোনা নীতি উলঙ্ঘনের আওতায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
নিজামউদ্দিন মার্কাজ
দেশে করোনা আবহের মধ্যেই, ১৩ই মার্চ দিল্লির নিজামউদ্দিন এলাকায় ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তবলিঘি জামাত। যার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন জামাত প্রধান মৌলানা মহম্মদ সাদ কান্দিলভি। নিজামউদ্দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৯ হাজার তবলিঘি সদস্য অংশ নেন। যার একটা বড় অংশই বিদেশি নাগরিক।