প্রজাতন্ত্র দিবসের মঞ্চে মোদীকে কৌশলী চাল কংগ্রেসের
৭০তম প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল আবহ ছিল নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে ঘিরে।
৭০তম প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল আবহে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু থাকলেও মহাত্মা গান্ধীর জন্ম সার্ধশতবর্ষও ছিল প্রাসঙ্গিক। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার আজাদ হিন্দ ফৌজের বীর সেনানী চারজনকে হাজির করে নতুন দৃষ্টান্তও তৈরি করেছে। তবে তার মাঝেই কংগ্রেস গান্ধীজিকে হাজির করে অন্য মাত্রা যোগ করল।
|
এদিন প্রজাতন্ত্র দিবসে বিভিন্ন প্রদেশের একের পর এক ট্যাবলো দিল্লির রাজপথে প্যারেড করে আসে। তার মধ্যে যেমন ছিল জালিয়ান ওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ট্যাবলো তেমনই অন্যান্যা ট্যাবলোও ছিল।
|
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, মহারাষ্ট্র, সিকিম সহ বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলো এদিন রাজপথে নামে।
|
ভারতীয় সেনার যেমন সুসজ্জিত ট্যাবলো ছিল তেমনই আকাশপথেও বিমানের কৌশলও দেখানো হয়েছে। এদিন প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি রামাফোসাকে পাশে বসিয়ে নরেন্দ্র মোদী তা প্রত্যক্ষ করেন।
[আরও পড়ুন:তৈরি হল ইতিহাস, নেতাজির আইএনএ-র সঙ্গীরা প্রজাতন্ত্র দিবসের মঞ্চ আলোকিত করলেন]
|
এর মাঝেই কর্ণাটকের ট্যাবলো নেতাজিকে নিয়ে নয়, ১৯২৪ সালে বেলগাভিতে হওয়া কংগ্রেসের ৩৯তম বার্ষিক সভার থিমকে সামনে আনল। যে সভার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। এই ট্যাবলো নিয়ে বেশ সাড়া পড়ে গিয়েছে। গান্ধীজিকে নিয়ে কেন্দ্র সরকার নানা প্রচার করলেও সামান্য সুযোগে নিজেদের নেতা গান্ধীজিকে হাজির করে কংগ্রেস নিজের মতো করে বার্তা দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যান্য রাজ্য যেখানে গান্ধীজির জীবনের নানা কর্মকাণ্ডকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে, সেখানে কংগ্রেসের সামান্য একটি রাজনৈতিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার যে বার্তা দিল তা বেশ আলোড়ন ফেলে দেওয়ার মতোই।
[আরও প়ড়ুন:Republic Day Live- কড়া নিরাপত্তায় রাজধানী, ৭০ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে মাতোয়ারা দেশ ]
|
অন্যদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন ভারত রত্ন সম্মান নিয়েও নিজেদের অসন্তোষ জানিয়ে দিল কর্ণাটকের কংগ্রেস। সিদ্দারামাইয়া জানিয়ে দিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভারত রত্ন সম্মান দেওয়াকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তবে সিদ্দাগঙ্গা সীরকেও ভারতরত্ন দেওয়া উচিত ছিল। অর্থাত লোকসভা নির্বাচনের মুখে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ভারত রত্ন সম্মানের ঘোষণার মধ্যে যে রাজনীতি রয়েছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছে কংগ্রেস।