আত্মঘাতী গাড়ি হামলার খবর ছিল, তবে কীভাবে কাশ্মীরে ঘটল এই মহা বিপর্যয়
কাশ্মীরে জঙ্গিরা নাশকতার ছক কষছে সেই খবর আগেই ইন্টেলিজেন্সের কাছে এসে গিয়েছিল।
কাশ্মীরে জঙ্গিরা নাশকতার ছক কষছে সেই খবর আগেই ইন্টেলিজেন্সের কাছে এসে গিয়েছিল। তবে কীভাবে তা আটকানো যাবে তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন নিরাপত্তা আধিকারিকেরা।
ইন্টেলিজেন্স
এজেন্সি
এক
সপ্তাহ
আগেই
জানিয়েছিল
জঙ্গিরা
আইইডি
বা
ইম্প্রোভাইসড
এক্সপ্লোসিভ
ডিভাইস
জোগাড়
করছে।
গত
৮
ফেব্রুয়ারি
এই
তথ্য
দেওয়া
হয়।
যাতে
স্পষ্ট
ইঙ্গিত
ছিল,
হামলার
উদ্দেশ্যেই
জঙ্গিরা
এই
বিস্ফোরক
জোগাড়
করছে।
ইন্টেলিজেন্স
সূত্রে
বলা
হয়,
সেনা
মোতায়েন
করার
আগে
সব
জায়গা
যেন
ভালো
করে
দেখে
নেওয়া
হয়।
গোটা
বিষয়টিকে
গুরুত্ব
দিয়ে
দেখতে
বলা
হয়।
সেই
তথ্যে
বিশেষ
ভরসা
না
করে
শ্রীনগর
থেকে
জম্মু
সেনা
কনভয়
নিয়ে
যেতে
গিয়েই
এতবড়
একটা
নাশকতার
মধ্যে
পড়ল
সেনা।
[আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় হামলা, ভেদাভেদ ভুলে মোদী সরকারের পাশে থাকার বার্তা রাহুল গান্ধীর]
নির্দিষ্ট সূত্রে খবর এলে গাড়ি বোমা কীভাবে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়। ঠিক হয়েছিল ভোর থাকতে বেরনো হবে। যাতে রাস্তা ফাঁকা থাকলে অনেকটা জায়গা পার করে ফেলা যায়। এছাড়া রাস্তার মাঝে মাঝে সিগন্যালে অন্য গাড়ি চেকিং করা হবে বলেও ঠিক হয়েছিল। দিনের বেলায় আমজনতার গাড়ি রাস্তায় থাকলে চেকিংয়ের সমস্যা হবে ভেবে তার বিকল্প ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। তবে আত্মঘাতী গাড়ি হামলা হলে তা কীভাবে ঠেকানো হবে তার সঠিক পরিকল্পনা ছিল না।
[আরও পড়ুন: পুলওয়ামার হামলার পরই আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভেসে এল সমর্থন, শুরু তুমুল বিতর্ক ]
যদিও সেনার যুক্তি, এই ধরনের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম। সাম্প্রতিক সময়ে এমন ঘটনার কোনও নজির নেই। সাধারণত সিরিয়া বা আফগানিস্তানে গাড়ি বোমা ব্যবহার করে হামলা চালায় জঙ্গিরা। পুলওয়ামায় কেন এই কায়দা বেছে নিল জঙ্গিরা তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
[আরও পড়ুন: তিন কিস্তিতে পাকিস্তান একঘরে হবে গোটা বিশ্বে, জানুন কি সেই মোক্ষম রণকৌশল ভারতের ]