স্তব্ধ কাশ্মীরে সৈয়দ গিলানি কী করে ব্যবহার করলেন ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন? উঠছে প্রশ্ন
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা এবং টেলিফোন পরিষেবা।
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা এবং টেলিফোন পরিষেবা। গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে রাজনৈতিক নেতাদের। ইদের দিন কেবল কয়েকটি মাত্র পাবলিক টেলিফোন বুথের বন্দোবস্ত করেছিল সেনাবাহিনী।
যেখান থেকে ফোন করে পরিজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন উপত্যকার বাসিন্দা। কিন্তু এই চরম পরিস্থিতিতেও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ গিলানি কিন্তু ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে শুরু করে মোবাইল পরিষেবা সবই পেয়েছেন। তাঁর বাড়িতে কোনও কিছু বন্ধ হয়নি।
কী করে এটা করতে পারলেন হুরিয়ত নেতা, যেকােন ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতির মতো ভিআইপিরাও সেই পরিষেবা থেকো বঞ্চিত থেকেছেন।
কাশ্মীর পুলিসের টনক নড়ে গিলানির টুইটার দেখে। কী করে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকা সত্ত্বেও গিলানি একের পর এক টুইট করে চলেছিলেন। তার টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার জন্য টুইটারকে চিঠি লেখে জম্মু-কাশ্মীর পুলিস।
তদন্তে নেমে জানা যায় কাশ্মীরের এই চরম পরিস্থিতির মধ্যেও ইন্টারনেট এবং মোবাইল পরিষেবা পেয়েছেন এই হুরিয়ত নেতা। এই নিয়ে বিএসএনএল-র উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের তাঁর নম্বর বন্ধ করার জন্য চিঠি লেখা হয়। তদন্তে নেমে জানা যায় বিএসএনএলের আধিকারিকরাই জড়িত রয়েছে এই কাজে। ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে বিএসএনএলের দুই আধিকারিককে।