১৮টি চার্টার্ড বিমানে ভরে ১৮০০ টন সুইস নোট এসেছে কলকাতায়
১৮টি চার্টার্ড বিমানে করে জুরিখ থেকে গত দুই-আড়াই মাসের মধ্যে ১৮০০ টন নোট এসেছে। প্রতিটি বিমানে ১০০ টন করে আনা ওয়াটারমার্ক দেওয়া এই নোট পশ্চিমবঙ্গের শালবনিতে ছাপা হচ্ছে।
কলকাতা, ২১ ডিসেম্বর : নোট বাতিলের পরে বিমানে করে বাক্স ভরে ভরে কলকাতায় নোট এসেছে সুইৎজারল্যান্ড থেকে। তবে প্রথমেই জানিয়ে রাখা প্রয়োজন যে এই নোট সুইস ব্যাঙ্কের কালো টাকা নয়।
জানা গিয়েছে, ১৮টি চার্টার্ড বিমানে করে জুরিখ থেকে গত দুই-আড়াই মাসের মধ্যে ১৮০০ টন নোট এসেছে। প্রতিটি বিমানে ১০০ টন করে আনা ওয়াটারমার্ক দেওয়া এই নোট পশ্চিমবঙ্গের শালবনিতে ছাপা হচ্ছে।[অধিকাংশ ব্যাঙ্কই ৫০০০ টাকার বেশি জমা নিতে অস্বীকার করছে, ভোগান্তি চরমে!]
চার্টার্ড বিমানগুলিতে ২৮০টি কাঠের বাক্সে করে নোটগুলি এসেছে। এরপরে পাঁচ-ছটি ট্রেলরে চাপিয়ে সেগুলি শালবনির ছাপাখানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।[২০০৫ সালের আগে ছাপা নোট ব্যাঙ্কে জমা দিলে কি হবে? কি বলছে আরবিআই]
সূত্রের খবর, এদিন বুধবার ও শনিবারও বিশেষ বিমানে করে ওয়াটারমার্ক দেওয়া নোট আসার কথা রয়েছে। এই নোটগুলি সুইস কোম্পানি তৈরি করেছে। এরা ব্যাঙ্কনোট বানিয়ে থাকে। সাধারণভাবে এই ধরনের নোট ছাপার কাগজ জাহাজে চেপে আসে। তবে এবার বিশেষ বিমানে চেপে এসেছে।[নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে কেন্দ্র সরকারের কত লক্ষ কোটি টাকা আয় হবে জানেন?]
এবার নোট বাতিলের ধাক্কায় একসঙ্গে প্রচুর নোট ছাপানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। সেজন্যই চার্টার্ড বিমানে চাপিয়ে জরুরি ভিত্তিতে নোট আনা হয়েছে। তবে এভাবে বিমানে চাপিয়ে নোট আনতে কত বেশি খরচ পড়ল তা অবশ্য জানা যায়নি।[২ বছর আগে নেওয়া হয়েছিল নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত!]
শুধু জানা গিয়েছে, জুরিখ থেকে ৭৫০০ কিলোমিটার দূরের কলকাতা আসতে মাঝে নোট ভর্তি বিমানকে দুবাইতে নেমে তেল নিতে হয়েছে।