সুইস ব্যাঙ্কে কারা জমিয়েছে কালো টাকা? এবার সেই তথ্য হাতে পেতে চলেছে কেন্দ্র
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকার হিসাব চলে আসবে কেন্দ্রের হাতে। এর ফলে কালো টাকার উত্সে পৌঁছনো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লি, ২২ নভেম্বর : সুইস ব্যাঙ্কে কারা কালো টাকা গচ্ছিত রেখেছে, সেই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ভারতের হাতে এতদিন ছিল না। এর আগে সুইস ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্টধারী কিছু লোকের নাম প্রকাশ করা হলেও তা পর্যাপ্ত ছিল না। তবে এবার সম্ভবত সমস্ত তথ্যই ভারতের হাতে আসতে চলেছে।
জানা গিয়েছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকার হিসাব চলে আসবে কেন্দ্রের হাতে। এর ফলে কালো টাকার উত্সে পৌঁছনো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সুইস দূতাবাসের চিফ অব মিশন জাইলস রোডুইটের সঙ্গে এদিন মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদানের যৌথ সম্মতিপত্রে সই করেন ভারতের পক্ষে সিবিডিটি চেয়ারম্যান সুশীল চন্দ্র।
এই 'অটোমেটিক এক্সচেঞ্জ অব ইনফরমেশন' সম্মতির ফলে ভারতীয় নাগরিকদের কার কার সুইস ব্যাঙ্কে কালো টাকা গচ্ছিত রয়েছে তা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের পরে সহজেই জানা যাবে।
এর আগে গত ৬ জুন সুইস রাষ্ট্রপতি জোহান স্নেইডা-আম্মানের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে সেদেশের ব্যাঙ্কে গচ্ছিত ভারতীয়দের সম্পত্তির হিসাব ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করের টাকা লুকিয়ে সিউস ব্যাঙ্কে গচ্ছিত কালো টাকার হিসাব ভারতের কাছে কতটা জরুরি তা বোঝান তিনি।
এরপরই 'অটোমেটিক এক্সচেঞ্জ অব ইনফরমেশন'-এ সম্মতির কাজ এগোতে থাকে। এবং এদিন শেষপর্যন্ত সুইত্জারল্যান্ড ভারতের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রদান করতে রাজি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে বিজেপি সরকার। প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী। এরপরে কালো টাকা উদ্ধারে সংসদে খানিক উদ্যোগ নিলেও এতদিনে তেমন কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি মোদী সরকার, এমনই অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন বিরোধীরা।
এবার নোট বাতিল ও তারপরে সুইস সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে বিরোধীদের কড়া জবাব দিলেন নরেন্দ্র মোদী, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।