
করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে সুইগি-ওলার মতো অনলাইন অ্যাপগুলিও
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও তার জেরে দেশজুড়ে লকডাউনের জন্য দেশের শীর্ষে থাকা ক্যাব–অ্যাপ, ফুড ডেলিভারি ও আতিথেয়তা সংস্থাগুলি ব্যবসার ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে, তা সত্ত্বেও মাঝামাঝি স্তরে থাকা স্টার্টআপ সংস্থার পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং নিজেদের কর্মীদেরকেও সুরক্ষিত রাখছে তারা। শুধু তাই নয় ভারতের এই অ্যাপগুলি থেকেই সর্বাধিক সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা
ওয়ো, পেটিএম, ওলা, সুইগি, জোম্যাটো, উবার সহ অন্যান্য অ্যাপগুলির পক্ষ থেকে নিরাপদে ডেলিভার, সংস্পর্শহীনভাবে পার্সেল দেওয়া ও যাত্রীদের সুরক্ষিতভাবে গন্তব্যে পৌঁছানো সহ বেশ কিছু নিশ্চিত নিরাপদ আশ্বাসের ঘোষণা করা হয়েছে। ফুড ডেলিভারি অ্যাপ সুইগি ও জোম্যাটো তাদের কর্মীদের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা চালু করেছে। ডেলিভারি সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন হন এবং তা অভ্যাসে পরিণত করেন তার জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে যখন এটি শ্বাসকষ্টের স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কিত হয় তখন ঘন ঘন ও সঠিক পদ্ধতিতে হাত ধোওয়া এবং সহজে সনাক্তকরণ নিশ্চিত করার জন্য মহামারি সম্পর্কিত লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এই প্রশিক্ষণ। সমস্ত স্বাস্থবিধি মেনে ও খাবার পরিচালনা ও প্যাকেজিংয়ে পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে জোম্যাটো ও সুইগি উভয়ই রেস্তোরাঁগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে।

সচেতন জোম্যাটো
একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জোম্যাটোর পক্ষ থেকেও, যা অন্যান্য কর্মচারী এবং ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি ডেলিভারি অংশীদারদের সংবেদনশীল করতে একাধিক যোগাযোগের চ্যানেল ব্যবহার করছে। এই ফুড ডেলিভারি অ্যাপ তাদের অংশাদারিত্ব অ্যাপের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জারি করা কোভিড-১৯ টেস্টিং ল্যাবের লোকেশন সহ হু-এর সুপারিশ করা শ্রেষ্ঠ অভ্যাসগুলি এসএমএসের মাধ্যমে জোম্যাটো অ্যাপে ক্রমাগত দেখা যাচ্ছে।

জিরো কনট্যাক্ট ফুড ডেলিভারি
ফাস্ট-ফুড চেইন ডমিনোজ ও ম্যাকডোনাল্ড'স-ও ‘জিরো কনট্যাক্ট' ফুড ডেলিভারি পরিষেবা চালু করেছে। ডেলিভারি বয় বাড়ি বা অফিসের বাইরে খাবার রেখে গ্রাহককে ফোন করে তা নিয়ে নেওয়ার জন্য জানিয়ে দিচ্ছে। অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন বিগ বাস্কেট, ফ্লিপকার্ট ও গ্রুফার্সও তাদের গ্রাহকদের ডিজিটাল পেমেন্ট করতে বলছে।

ওলা–উবারের কোভিড–১৯ নির্দেশিকা
অন্যদিকে ক্যাব-অ্যাপ উবার ও ওলা লকডাউনের সময় জরুরি সেবা হিসাবে উভয় পক্ষই একশোটি করে ক্যাব পরিষেবা দিয়েছে। এর আগে এই ক্যাবগিলি রোগীদের বাড়ি থেকে হাসপাতাল ও হাসপাতাল থেকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হত এবং সেটা সন্দেহজনক বা কোভিড-১৯ পজিটিভ কেস বা অন্য জরুরি রোগীর ক্ষেত্রে নয়। মহামারি এবং পরবর্তীকালে দেশব্যাপী লকডাউনের মধ্যে চালক ও যাত্রী উভয়কেই রক্ষা করতে তারা ভারতে তাদের কোভিড-১৯ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিল। উভয় ক্যাব গ্রাহকরা তাদের গাড়িতে দু'জনের বেশি যাত্রী নিতে পারবে না এবং যাত্রীরা পেছনের আসনেই বসবে।
Recommended Video

করোনা আতঙ্কের মাঝেই খুশির খবর, বাঙালির পাতে পড়তে চলেছে মরুশুমের প্রথম ইলিশ
{quiz_211}