শহিদ কর্নেলের স্ত্রী স্বাতী মাহেদিক এবার নাম লেখালেন সেনাবাহিনীতে
সেনাবাহিনীতে যোগ দিলেন স্বাতী মাহেদিক। ২০১৫-তে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গিয়েছিলেন স্বাতীর স্বামী কর্নেল সন্তোষ মাহেদিক। শনিবার চেন্নাইয়ে প্যারেড শেষ করার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন
সেনাবাহিনীতে যোগ দিলেন স্বাতী মাহেদিক। ২০১৫-তে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গিয়েছিলেন স্বাতীর স্বামী কর্নেল সন্তোষ মাহেদিক। শনিবার চেন্নাইয়ে প্যারেড শেষ করার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বাতী। অন্য সেনা আধিকারিকের পরিজনরা স্বাতীকে সমবেদনা জানান।
সেনাবাহিনীর কঠোর অনুশীলনের মাধ্য়মে উত্তীর্ণ হয়েছেন স্বাতী। স্বামীর মতোই যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করতে চান বলেই সেনার পোশাক পড়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্বাতী। তাঁর স্বামী সেনার পোশাককেই ভাল বেসেছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বাতী। সেই ভালবাসা থেকেই তাঁর সেনাবাহিনীতে যোগদান বলে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট স্বাতী মাহেদিক।
সেনাবাহিনীতে স্বাতীর যোগদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই সন্তান ১২ বছরের কন্যা কার্তিকী, এবং ৭ বছরের ছেলে স্বরাজ, শাশুড়ি কালিন্দী ঘোড়পাড়ে, বাবা ভাবান রাও শেডগে এবং তাঁর মা।
২০১৫-র নভেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াইয়ে মারা যান বছর আটত্রিশের সেনা অফিসার সন্তোষ মাহেদিক। ৪১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন সন্তোষ। কুপওয়ারার মানিগা ফরেস্টে জঙ্গি অনুপ্রবেশের খবর পেয়ে তাঁর নেতৃত্বেই অভিযান হয়। জঙ্গিদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সন্তোষ।
শুধু স্থলে যুদ্ধই নয়, অভিজ্ঞ প্যারাট্রুপার ছিলেন সন্তোষ। একইসঙ্গে আন্ডার ওয়াটার ড্রাইভারও ছিলেন তিনি। সন্তোষ মাহেদিকের নেতৃত্বে অনেক মানুষের প্রাণ রক্ষা হয়েছিল। দেশের প্রতি অবদান স্বরূপ ভারত সরকার সন্তোষকে মরণোত্তর শৌর্ষচক্রে ভূষিত করেছিল।
মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার পোগারওয়াডি গ্রামের বাসিন্দা এই মাহেদিক পরিবার।
শনিবার স্বাতীর সঙ্গে ছিলেন অপর এক সেনা অফিসার নিধি দুবে। নিধির স্বামী নায়েক মুকেশ দুবে ২০০৯-এ মারা যান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই তাঁর সেনাবাহিনীতে যোগদান বলে জানিয়েছেন নিধি।