ব্রু শরণার্থীদের পুনর্বাসনকে স্বাগত জানিয়ে ত্রিপুরার বিগত বাম সরকারের সমালোচনায় স্বরাজ কৌশল
দুই দিন আগেই বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দেন, আগামী দিনে ব্রু শরণার্থীরা বসবাস করবেন ত্রিপুরাতে। প্রায় ৩০ হাজার এমন শরণার্থীকে জায়গা দেবে ত্রিপুরা। এরজন্য ৬০০ কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। আজ সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের স্বামী তথা মিজোরামের প্রাক্তন রাজ্যপাল স্বরাজ কৌশল।
|
মিজোরামের প্রাক্তন রাজ্যপাল স্বরাজ কৌশল
মিজোরামের প্রাক্তন রাজ্যপাল স্বরাজ কৌশল বলেন, 'ত্রিপুরার প্রায় ৩৪,০০০ ব্রু শরণার্থীকে পুনর্বাসনের জন্য প্রত্যাবাসন চুক্তি খুব জরুরি একটি ব্যবস্থাই নয় বরং এটি স্থায়ী সমাধান। এর পিছনে অনেক ভালো উদ্দেশ্য রয়েছে।'
|
'২৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে শিবিরে রয়েছেন তাঁরা'
তিনি বলেন, 'ব্রু জনজাতির মানুষরা ২৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে শিবিরে রয়েছেন। চুক্তিটি তাদের স্থায়ীভাবে বসবাসের স্থান নির্ধারণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ছিল। এর ফলে তারা সম্মানের জীবনযাপন করতে পারবে। আগের শিবিরগুলিতে সমস্ত ধরনের মৌলিক অধিকারের বিষয়গুলি অনুপস্থিত ছিল। বাড়ি, জমি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, স্কুল কোনও কিছুই ছিল না সেখানে।'
|
আগের বাম সরকারের সমালোচনা
এই বিষয়ে ত্রিপুরার আগের বাম সরকারের সমালোচনা করে স্বরাজ বলেন, 'যদি কোনও ক্যাডার বা ভোটার থাকে তবে মমতা রয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে দূরদর্শিতার প্রয়োজন ছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে, বাম আমলে রাজ্য সরকারের জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি ছিল না। তারা লালের উর্ধ্বে উঠে কোনও কাজ করতে পারত না।'
|
'এত বছর ধরে দিল্লি উত্তর-পূর্ব থেকে অনেক দূরে ছিল'
এত বছর ধরে দিল্লি উত্তর-পূর্ব থেকে অনেক দূরে ছিল। রেয়াংরা হল ভারতীয় নাগরিক। তাদের কৌশলগত অবস্থান দেখুন। তাদের মোট জনসংখ্যা প্রায় দুই লাখ। ত্রিপুরায় এক লক্ষ রেয়াং এবং মিজোরামে প্রায় ৬৫ হাজার জন রয়েছে। এই ব্রু শরণার্থীরা সকলেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকত।' তিনি আরও বলেন, 'এই ব্যক্তিরাই সীমান্তে এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রথম লাইন অফ ডিফেন্স। আমি খুশি যে সরকার শেষ পর্যন্ত এদের জন্যে এগিয়ে এসেছে। এই কাজটি হয়েছে জাতীয় সুরক্ষা মাথায় রেখে ও মানুষের বেদনার কথায় মাথায় রেখে।'